আতঙ্ক! আমেরিকার বুকে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা: জীবনহানির শঙ্কা!

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে আবারও ভয়াবহ আবহাওয়ার পূর্বাভাস, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে আবারও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এবং ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা কয়েক কোটি মানুষের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, মঙ্গলবার বিকাল থেকে শুরু করে সপ্তাহ জুড়েই এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি থাকতে পারে।

এই পরিস্থিতিতে টর্নেডো, শিলাবৃষ্টি এবং ব্যাপক বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর (National Weather Service) জানাচ্ছে, টেক্সাস থেকে শুরু করে আইওয়া পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় মঙ্গলবার মাঝারি থেকে তীব্র বজ্রঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। কানসাস, ওকলাহোমা এবং মিসৌরির কিছু অংশে ঝড়ের তীব্রতা আরও বেশি হতে পারে।

এই অঞ্চলে শক্তিশালী টর্নেডো এবং বড় আকারের শিলাবৃষ্টিরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিলাবৃষ্টির আকার কখনো কখনো একটি গলফ বলের সমান হতে পারে।

বুধবার পরিস্থিতি আরও গুরুতর রূপ নিতে পারে। সেন্ট লুইস, ইন্ডিয়ানাপলিস এবং শিকাগো সহ প্রায় ৪ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষের ওপর তীব্র বজ্রঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই সময়ে মিসিসিপি উপত্যকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হতে পারে, যার কারণে শিলাখণ্ডের আকার বেসবল পর্যন্ত হতে পারে।

বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হলো বন্যা। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত এই অঞ্চলে একটানা বৃষ্টি হতে পারে।

এর ফলে জীবনহানীর আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে আরকানসাস থেকে ইন্ডিয়ানা পর্যন্ত অঞ্চলে প্রতিদিন ২ থেকে ৬ ইঞ্চি (প্রায় ৫০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার) পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।

কোনো কোনো স্থানে বৃষ্টির পরিমাণ ১৫ ইঞ্চির (প্রায় ৩৮০ মিলিমিটার) বেশি হতে পারে, যা একটি বড় ধরনের বন্যার কারণ হবে। কেন্টাকি রাজ্যের প্যাডুকা অঞ্চলের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস সতর্ক করে বলেছে, এই পরিমাণ বৃষ্টি হলে একটি ঐতিহাসিক বন্যা দেখা দিতে পারে।

আবহাওয়ার এই চরম রূপ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলস্বরূপ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে আবহাওয়ার চরম রূপ দেখা যাচ্ছে, যা জীবন ও সম্পদের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।

গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার ঘটনা বেড়েছে। এই ধরনের আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশেই দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে, যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্যতম।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *