যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য-পশ্চিম অঞ্চলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ, নিহত ৪২।
যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে সম্প্রতি বয়ে যাওয়া শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, দাবানল ও ধূলিঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে অন্তত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে আলাবামা, মিসিসিপি, ওকলাহোমা, টেক্সাস, মিসৌরি, আরকানসাস, কানসাস এবং নর্থ ক্যারোলিনা।
আলাবামার প্ল্যান্টার্সভিলে শহরে টর্নেডোর আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দা ড্যারেন অ্যাচিচন জানান, ঝড়ের পরে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে খাদ্য ও পানীয় নিয়ে গিয়েছিলেন।
এই শহরে ঝড়ে নিহতদের মধ্যে ছিলেন ৮২ বছর বয়সী অ্যানি ফ্রি, যিনি সবসময় এলাকার মানুষের পাশে থাকতেন। ঝড়ে তার বাড়িটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়।
এছাড়াও, স্থানীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানের পরিচিত মুখ ড্যাঙ্ক পিকারিংও ঝড়ে নিহত হয়েছেন।
মিসিসিপিতে টর্নেডোর কারণে ছয় জন নিহত হয়েছেন এবং দুইশ জনের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন।
ওকলাহোমাতে দাবানলের কারণে কয়েকশ বাড়ি পুড়ে গেছে। সেখানকার ফরেস্ট্রি সার্ভিসের কর্মকর্তা কেইথ মের্কস জানিয়েছেন, বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
কানসাস ও টেক্সাসে শক্তিশালী ধূলিঝড়ের কারণে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কানসাসে একটি দুর্ঘটনায় ৫০টির বেশি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আটজন নিহত হয়েছেন।
টেক্সাসের অ্যামারিলা শহরেও ধূলিঝড়ের কারণে হওয়া দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা বাংলাদেশের মানুষের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বাংলাদেশও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ।
অতীতে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অপরিসীম।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস