আমেরিকার বাণিজ্য শুল্কের কারণে পোশাকের দাম বাড়লে পুরোনো পোশাকের বাজার আরও চাঙা হওয়ার সম্ভাবনা।
নতুন পোশাকের দাম যদি বাড়ে, তাহলে ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যের খোঁজে পুরোনো পোশাকের দিকে ঝুঁকতে পারে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পোশাকের ওপর শুল্ক আরোপের চিন্তা-ভাবনা করছে।
এর ফলে পোশাকের দাম বেড়ে যেতে পারে। এমতাবস্থায়, পুরোনো পোশাক কেনাবেচার বাজার আরও প্রসারিত হতে পারে।
পোশাকের বাজারের এই পরিবর্তনের কারণ হলো, নতুন পোশাকের তুলনায় পুরোনো পোশাকের দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এছাড়া, অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে পুরোনো পোশাক কেনাবেচার সুযোগ থাকায় ক্রেতাদের জন্য জিনিসপত্র খুঁজে বের করা সহজ হয়।
পোশাকের দাম বাড়লে মানুষ সাশ্রয়ী মূল্যের দিকে ঝুঁকবে, যা পুরোনো পোশাকের বাজারকে আরও শক্তিশালী করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্ক নীতি যদি কার্যকর হয়, তাহলে পোশাকের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। এর ফলে ক্রেতারা নতুন পোশাকের পরিবর্তে পুরোনো পোশাকের দিকে ঝুঁকতে পারেন।
এই পরিস্থিতিতে অনলাইন মার্কেটপ্লেস, কনসাইনমেন্ট শপ এবং বিভিন্ন থ্রফট স্টোরগুলোর ব্যবসা আরও বাড়তে পারে।
বর্তমানে, বিশ্বজুড়ে পুরোনো পোশাকের বাজার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে এই বাজারের চাহিদা আরও বেড়েছে।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পুরোনো পোশাকের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে, কারণ তারা সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্যাশন সচেতন থাকতে চায়। এছাড়া, পরিবেশ সচেতনতাও এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পুরোনো পোশাক ব্যবহার করার মাধ্যমে পোশাক শিল্পের ক্ষতিকর প্রভাব কমানো যায়।
তবে, পুরোনো পোশাকের বাজারেও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি যদি আমদানি করা পুরোনো পোশাকের ওপরও প্রভাব ফেলে, তাহলে এই বাজারের বিক্রেতাদের ওপর বাড়তি শুল্কের বোঝা চাপতে পারে।
বিশেষ করে, যারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পুরোনো পোশাক আমদানি করেন, তাদের জন্য এই শুল্ক একটি উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন – পুরনো পোশাক কেনাবেচার ওয়েবসাইট ‘পশমার্ক’ (Poshmark), এই পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তারা তাদের প্রযুক্তি উন্নত করছে, যাতে ক্রেতারা সহজে পছন্দের পোশাক খুঁজে পায়।
অন্যদিকে, কিছু ব্র্যান্ড তাদের পুরোনো পোশাক পুনর্ব্যবহার করার প্রোগ্রাম শুরু করতে পারে। এর ফলে, একদিকে যেমন তাদের ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে, তেমনি ভোক্তাদের কাছেও সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের পোশাক পৌঁছানো সম্ভব হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকের দাম বাড়লে, অনেক ক্রেতা হয়তো নতুন পোশাক কেনা কমিয়ে দেবেন। ফলে পুরোনো পোশাকের বাজার আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস