মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণ প্রভাবশালী, যিনি ক্যান্সার গবেষণা তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন, বর্তমানে আটকা পড়েছেন চিলির আন্টার্কটিক অঞ্চলে। এ ঘটনা সম্প্রতি সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ইথান গুও নামের এই তরুণ, যিনি মূলত একজন প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত, গত বছর বিশ্বজুড়ে এককভাবে বিমান ভ্রমণের রেকর্ড গড়তে চেয়েছিলেন। তাঁর এই ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের ক্যান্সার গবেষণা খাতে অনুদান সংগ্রহ করা।
জানা যায়, তিনি এশিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে বিভিন্ন মহাদেশ পাড়ি দিচ্ছিলেন। কিন্তু বিধি বাম! ভ্রমণের এক পর্যায়ে তিনি যখন আন্টার্কটিক অঞ্চলে পৌঁছান, তখন সেখানে অবতরণের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তিনি একটি ছোট বিমান নিয়ে অবতরণ করেন।
অভিযোগ উঠেছে, তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।
এই ঘটনার জেরে চিলির কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, তিনি বিমান অবতরণের পূর্বে ভুল তথ্য সরবরাহ করেছিলেন।
এরপর তাঁকে আটক করা হয় এবং বিমানে ভ্রমণের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও সেখানে অবতরণ করার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তবে, পরবর্তীতে তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে চিলির কৌঁসুলিদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়।
এই সমঝোতা অনুযায়ী, গুও-কে শিশুদের ক্যান্সার ফাউন্ডেশনে ৩০,০০০ মার্কিন ডলার (বর্তমান বিনিময় হারে প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি) অনুদান দিতে হবে। এছাড়াও, তাঁকে তিন বছরের জন্য চিলির ভূখণ্ডে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পাশাপাশি, সেখানে তাঁর থাকা-খাওয়ার খরচও তাঁকে বহন করতে হবে।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর গুও এক বার্তায় জানান, তিনি মুক্তি পেয়েছেন এবং এতে “স্বস্তি” অনুভব করছেন।
বর্তমানে, তিনি একটি সামরিক ঘাঁটিতে অবস্থান করছেন। খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবং তাঁর বিমানের উপযুক্ততা না থাকায় তিনি এখনো পর্যন্ত আন্টার্কটিক অঞ্চল ত্যাগ করতে পারেননি।
এই মুহূর্তে তিনি তাঁর বিমানটি নিয়ে দ্রুত ফিরে আসার অপেক্ষায় আছেন। তিনি আশা করছেন, খুব শীঘ্রই তাঁর প্রত্যাবর্তনের অনুমতি মিলবে এবং তিনি তাঁর মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
আন্টার্কটিক অঞ্চলে আটকে পড়া এই তরুণের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তাঁর ভ্রমণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন, আবার অনেকে তাঁর এই ধরনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।
তবে, এখন সবার দৃষ্টি তাঁর দ্রুত সুস্থ জীবনে ফিরে আসার দিকে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস