যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর তাণ্ডবে নিহত ২১, শোকের ছায়া।
যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি এবং কেনটাকি রাজ্যে শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেনটাকি।
রাজ্যটিতে ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে, মিসৌরিতে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
কেনটাকির লরেল কাউন্টিতে একটি টর্নেডো আঘাত হানার পর সেখানকার পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে যায়।
স্থানীয় শেরিফ জন রুট জানিয়েছেন, “ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জীবিতদের উদ্ধারের জন্য অভিযান চলছে।”
মিসৌরির সেন্ট লুই শহরে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন মেয়র কারা স্পেন্সার। তিনি জানান, শহরে ৫ হাজারের বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, “আজ আমাদের শহর শোকাহত। জীবনহানি এবং ধ্বংসযজ্ঞ সত্যিই ভয়াবহ।”
সেন্ট লুই থেকে প্রায় ২০৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত স্কট কাউন্টিতেও আঘাত হানে একটি টর্নেডো।
এতে ২ জন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এছাড়া, বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
স্কট কাউন্টির শেরিফ ডেরিক হুইটলি জানিয়েছেন, “টর্নেডো চলাকালীন সময়েও আমাদের প্রথম সারির কর্মীরা আহতদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন।”
শুক্রবার শুরু হওয়া এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উইসকনসিনেও বহু মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
একইসঙ্গে টেক্সাসে তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিয়েছে। এছাড়া, শিকাগো এলাকার কাছে একটি শক্তিশালী ধূলিঝড়ের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শিকাগোর দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে উত্তর ইন্ডিয়ানা পর্যন্ত ১৬১ কিলোমিটার জুড়ে দৃশ্যমানতা মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
টেক্সাসের সান আন্তোনিও এবং অস্টিন শহরে তাপমাত্রা বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর কারণে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া, ভার্জিনিয়া থেকে ফ্লোরিডা পর্যন্ত পূর্ব উপকূলের কিছু অংশেও তাপমাত্রা ছিল বেশ বেশি, যা ৩২ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল।
আবহাওয়াবিদ জেসন রুনিয়েন সতর্ক করে বলেছেন, “যারা বাইরে কাজ করছেন, তাদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও জল পান করা উচিত।”
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা