আতঙ্কের রাত! টর্নেডোর তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড, নিহতদের আর্তনাদ!

# আমেরিকার কেন্দ্রিয় অঞ্চলে টর্নেডোর তাণ্ডব, মৃতের সংখ্যা বাড়ছে

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও টর্নেডোর আঘাতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। শুক্রবার রাতের বেলা মিসৌরি, কেনটাকি, ইলিনয় এবং ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

এতে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যুতের খুঁটিসহ বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কেনটাকিতে টর্নেডোর আঘাতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লরেল কাউন্টিতে একটি শক্তিশালী টর্নেডো আঘাত হানে, যার ফলে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে।

জরুরি বিভাগের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি এবং ভবনগুলোতে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন। লণ্ডন শহরের মেয়র র্যান্ডাল ওয়েডেল মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, মিসৌরির সেন্ট লুইসেও ঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানকার একটি ভয়ংকর টর্নেডোর কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শহরের মেয়র কারা স্পেন্সার জানিয়েছেন, অনেক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি ভবনের ছাদ উড়ে গেছে। দমকল বিভাগের প্রধান ডেনিস জেনকারসন জানিয়েছেন, প্রায় কুড়ি ব্লকের বেশি এলাকা ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং উদ্ধারকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন।

মিসৌরির স্কট কাউন্টিতেও ঝড়ের কারণে দুজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় শেরিফ ডেরিক হুইটলি জানিয়েছেন, টর্নেডোর আঘাতে বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং অনেক এলাকাকে চেনা যাচ্ছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন ধরে দেশটির পূর্বাঞ্চলে আরও মারাত্মক ঝড় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে, মধ্য আটলান্টিক এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

টর্নেডোর মতো ঘটনা বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়, তবে দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের এই দুর্যোগের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *