যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী টর্নেডোর তাণ্ডবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে, এখনো দুর্যোগের আশঙ্কা।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে সম্প্রতি বয়ে যাওয়া শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও টর্নেডোর আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ওকলাহোমা, কানসাস, মিসৌরি, ইলিনয় ও কেনটাকি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই অঞ্চলের কয়েক লক্ষ মানুষের ওপর এখনো দুর্যোগের সম্ভবনা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (National Weather Service) জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ও টর্নেডোর কারণে দেশটির বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কানসাসের প্লেভনা ও গ্রিন্সবার্গ এবং কেনটাকির লন্ডন শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও, ওকলাহোমা সিটি, ডালাস, কানসাস সিটি ও সেন্ট লুইসের মতো বড় শহরগুলোতেও ঝড়ের প্রভাব পড়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বর্তমানে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো শক্তিশালী টর্নেডোগুলো।
এদের মধ্যে কোনো কোনোটি ‘ইএফ-৩’ বা তার চেয়েও শক্তিশালী হতে পারে, যা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে সক্ষম। এছাড়া, ঘণ্টায় প্রায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া এবং শিলাবৃষ্টিরও সম্ভবনা রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার (স্থানীয় সময়) ওকলাহোমার পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের ওপর তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এছাড়া, মিসিসিপি উপত্যকাসহ আরো কয়েকটি রাজ্যেও ঝড়ের সম্ভবনা রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়ের কারণে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে, যা পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলবে।
কানসাসে রবিবার রাতে কয়েকটি টর্নেডোর আঘাত হানে।
গ্রিন্নেল শহরে একটি শক্তিশালী টর্নেডোর আঘাতে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট এবং গাছপালা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
স্থানীয় একটি গির্জার ছাদ উড়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মে মাস হলো যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর মৌসুম।
সাধারণত, এই সময়ে দেশটির মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর প্রকোপ বাড়ে। সাম্প্রতিক এই ঝড়গুলো গত কয়েক দিনের মধ্যে প্রায় ১,৫০০ বারের বেশি শক্তিশালী বাতাস, শিলাবৃষ্টি ও টর্নেডোর সৃষ্টি করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্যোগে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে, স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন