যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ও তীব্র বাতাসের আশঙ্কায় কয়েক কোটি মানুষ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গেছে, শুক্রবার দিনভর এখানে মারাত্মক বজ্রঝড় হতে পারে, যার সঙ্গে টর্নেডো এবং হারিকেনের মতো শক্তিশালী বাতাস বইতে পারে।
বৃহস্পতিবার এরই মধ্যে এই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বিধ্বংসী ঝড় বয়ে গেছে, যার ফলে অনেক জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে, মিনেসোটা, উইসকনসিন এবং ইলিনয়েসে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে, এতে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বহু মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
উইসকনসিনের ডজ কাউন্টিতে ঝড়ের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে মিসিসিপি এবং ওহাইও উপত্যকাসহ পূর্বাঞ্চলের বিশাল এলাকা জুড়ে তীব্র ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। এই ঝড়গুলোর কারণে শক্তিশালী টর্নেডো, শিলাবৃষ্টি এবং ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এমনকি বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ মাইলের বেশি হতে পারে, যা অনেক এলাকার জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
শুক্রবার রাতের বেলা বিশেষ করে কেনটাকি এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে ঝড়ের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। রাতের বেলা টর্নেডোর কারণে হতাহতের সংখ্যা দিনের বেলার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধারকর্মীরা জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছেন এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা চলছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবারও এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্য-আটলান্টিক এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে দমকা হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এরপর রবিবার এবং সোমবার দক্ষিণাঞ্চলে ঝড় আঘাত হানতে পারে, বিশেষ করে ওকলাহোমা এবং কানসাসে এর প্রভাব দেখা যেতে পারে। মঙ্গলবার নাগাদ এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আবার মিসিসিপি উপত্যকার দিকে মোড় নিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সেখানকার জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জনসাধারণকে সতর্ক থাকার এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া এবং ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন