যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের নাগরিকদের জন্য ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করে থাকে। সম্প্রতি, তারা ভ্রমণ না করার জন্য একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে নতুন করে দুটি দেশের নাম যুক্ত করা হয়েছে।
এই তালিকায় বর্তমানে মোট ২১টি দেশ রয়েছে, যেখানে মার্কিন নাগরিকদের ভ্রমণ করা উচিত নয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিয়মিতভাবে তাদের ভ্রমণ বিষয়ক পরামর্শ হালনাগাদ করে থাকে, যা ভ্রমণকারীদের জন্য বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দেয়।
সম্প্রতি, এই তালিকায় উত্তর কোরিয়া এবং বুর্কিনা ফাসো যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে, যে সকল দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে, সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১।
এই ভ্রমণ সতর্কতা মূলত চারটি স্তরে বিভক্ত: ‘লেভেল ১’ -এ স্বাভাবিক সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়, ‘লেভেল ২’-এ বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলা হয়, ‘লেভেল ৩’-এ ভ্রমণের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার জন্য জানানো হয়।
আর ‘লেভেল ৪’ হল সর্বোচ্চ সতর্কতা স্তর, যেখানে ভ্রমণের ব্যাপারে সম্পূর্ণভাবে অনুৎসাহিত করা হয়।
বুর্কিনা ফাসো-র ক্ষেত্রে, ১৬ই এপ্রিল তারিখে সতর্কতা আপডেট করা হয়েছে। এখানে বিশেষ করে দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকার রয়েছে এমন ভ্রমণকারীদের জন্য ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সতর্কতা অনুযায়ী, বুর্কিনা ফাসোর কর্তৃপক্ষের কাছে যদি আপনার দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকে, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি নাও দিতে পারে।
এছাড়াও, দেশটিতে সন্ত্রাসবাদ এবং অপহরণের ঝুঁকির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার ভ্রমণ সতর্কতা ২৯শে এপ্রিল তারিখে হালনাগাদ করা হয়। এখানে গ্রেপ্তার এবং দীর্ঘমেয়াদী আটক হওয়ার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায়, জরুরি পরিস্থিতিতে সেখানে আটকে পড়া মার্কিন নাগরিকদের সরাসরি সহায়তা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
উত্তর কোরিয়া সরকার প্রায়ই মার্কিন নাগরিকদের ইচ্ছামতো প্রবেশ ও প্রস্থানের ওপর নিষেধাজ্ঞা, গ্রেপ্তার এবং অন্যান্য পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
এমতাবস্থায়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের নাগরিকদের মুক্তি নিশ্চিত করতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভ্রমণ করা উচিত নয়’ এমন অন্যান্য দেশগুলো হলো ইয়েমেন, ইরান, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, আফগানিস্তান, লেবানন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, বেলারুশ, ইরাক, ইউক্রেন, ভেনেজুয়েলা, হাইতি, লিবিয়া, সোমালিয়া, রাশিয়া, মিয়ানমার, মালি এবং সুদান।
ভ্রমণের সময় নিরাপত্তা বিষয়ক সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই জরুরি।
যে কোনো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার আগে, সেই দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।
এছাড়াও, ভ্রমণের সময় আপনার দেশের দূতাবাস বা কনস্যুলেট অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যেতে পারে, যাতে কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে তারা আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার।