যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে সেনা সমাবেশ: ছবি ও উদ্বেগের প্রেক্ষাপট
যুক্তরাষ্ট্র সরকার মেক্সিকো সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জরুরি ঘোষণার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
সীমান্তে নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং চোরাচালান প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সামরিক শাখার ৭,৬০০ সৈন্যকে মোতায়েন করা হয়েছে, যাদের নেতৃত্বে রয়েছেন মেজর জেনারেল স্কট নৌম্যান।
সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বর্ডার পেট্রোলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছেন। সৈন্যদের মধ্যে কিছু অভিবাসীও রয়েছেন। তাদের কাজ হলো অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারীদের চিহ্নিত করা, সামরিকীকৃত এলাকা সুরক্ষিত করা এবং চোরাচালান চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
এই কার্যক্রমে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহারের পাশাপাশি অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামও ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরিজোনার নোগালেস এবং নিউ মেক্সিকোর সানল্যান্ড পার্কের সীমান্ত অঞ্চলে সৈন্যদের সক্রিয় দেখা যাচ্ছে। সেখানে তারা ‘স্টাইকার’ সাঁজোয়া যান ও লং রেঞ্জ অ্যাডভান্সড স্কাউট সার্ভেলেন্স সিস্টেমের (Long Range Advanced Scout Surveillance System) মতো সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন।
সীমান্ত অঞ্চলে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি তারা মেক্সিকোর মাদক চক্রগুলোর গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করছেন।
সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি, কর্তৃপক্ষ মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া এবং এর ওপারে মেক্সিকোর শহর সিউদাদ জুয়ারেজের দৃশ্য। সেখানে মাদক চক্রগুলোর প্রভাব প্রায়ই দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এই পদক্ষেপ সীমান্ত নিরাপত্তা আরও সুসংহত করতে এবং অবৈধ অভিবাসন কমাতে সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই সামরিকীকরণের ফলে সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস