যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি: বাংলাদেশের জন্য এর প্রভাব?
যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। বৃহস্পতিবার (গতকাল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তির ঘোষণা দেন, যা অ্যালুমিনিয়াম, ইস্পাত এবং ঔষধ সরবরাহ শৃঙ্খলকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশ বাণিজ্য বাড়ানো এবং শুল্ক প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে কাজ করবে।
এই চুক্তিতে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরও সহজ করার কথা বলা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের বাজারে মার্কিন কৃষি পণ্যের প্রবেশাধিকার বাড়ানো হবে এবং শুল্ক হার হ্রাস করা হবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিদ্যমান ১০ শতাংশ শুল্ক বহাল রাখবে। বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই চুক্তির ফলে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
এই চুক্তির প্রেক্ষাপটে, ব্রেক্সিটের (Brexit) বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) ত্যাগ করার পর নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে, যার অংশ হিসেবে এই চুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতি এবং বিশ্বজুড়ে শুল্কের প্রভাবও এই চুক্তির একটি অংশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যেকার এই বাণিজ্য চুক্তির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব নাও পড়তে পারে, তবে বিশ্ব বাণিজ্য এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে পরিবর্তনের কারণে কিছু পরোক্ষ প্রভাব অবশ্যই দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ঔষধ শিল্প অথবা কৃষি পণ্য রপ্তানিকারকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাদের বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এই চুক্তির প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাণিজ্য চুক্তিগুলো দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে, তাৎক্ষণিক প্রভাব সাধারণত সীমিত থাকে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যেকার এই বাণিজ্য চুক্তি বিশ্ব অর্থনীতির গতিপথ পরিবর্তনে কতটা ভূমিকা রাখে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা