মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্স সম্প্রতি ভ্যাটিকানে গিয়ে সেখানকার শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে অভিবাসন বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। পোপ ফ্রান্সিসের কঠোর অভিবাসন নীতির সমালোচনার কয়েক মাস পরেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
ভ্যাটিকান জানিয়েছে, এই আলোচনা ছিল খুবই ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ’। বৈঠকে কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিন, যিনি পোপের পরেই ভ্যাটিকানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি, এবং সেক্রেটারি ফর রিলেশনস উইথ স্টেটস, পল রিচার্ড গ্যালাঘেরের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্সের কথা হয়।
আলোচনার মূল বিষয় ছিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মানবিক সংকটে জর্জরিত দেশগুলো। শরণার্থীদের সমস্যা, অভিবাসন এবং বন্দীদের বিষয়গুলিও গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই পক্ষই ধর্ম ও বিবেকের স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে পোপ ফ্রান্সিস এক চিঠিতে তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
তিনি অভিবাসন প্রত্যাশীদের গণহারে বিতাড়িত করার পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেন এবং একে একটি ‘বড় সংকট’ হিসেবে বর্ণনা করেন। জানা গেছে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেন্সের ইচ্ছে ছিল পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করা।
কিন্তু ৮৮ বছর বয়সী পোপ অসুস্থতার কারণে বর্তমানে সেরে উঠছেন। ভ্যাটিকান অবশ্য পোপের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্টের কোনো বৈঠকের কথা জানায়নি। তবে, পোপ ধীরে ধীরে তার সরকারি দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।
গত বছরও পোপ ফ্রান্সিস অভিবাসন বিষয়ে কঠোর মনোভাবের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর রক্ষণশীলদের সমালোচনা করেছিলেন। শনিবারের বৈঠকের পর ভ্যাটিকান, মার্কিন ক্যাথলিক চার্চের ‘সবচেয়ে দুর্বল মানুষের প্রতি মূল্যবান সেবার’ কথা স্বীকার করেছে।
এই বৈঠকের মাধ্যমে একদিকে যেমন অভিবাসন এবং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তেমনই ধর্মীয় স্বাধীনতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও উঠে এসেছে। এই আলোচনা আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, বিশেষ করে যখন বিভিন্ন দেশে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা