মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে মূল্যবৃদ্ধি! উদ্বেগে অর্থনীতি?

যুক্তরাষ্ট্রে পাইকারি মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে মে মাসে। এই মাসের উৎপাদক মূল্য সূচক (Producer Price Index – PPI) অনুযায়ী, উৎপাদকদের প্রদত্ত মূল্য ০.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর ফলে বার্ষিক মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ২.৬ শতাংশ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সরকারি তথ্যমতে, এপ্রিল মাসে এই সূচক ০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।

অর্থনীতিবিদরা ধারণা করেছিলেন, এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে মূল্য ০.২ শতাংশ বাড়বে এবং গত ১২ মাসের গড় মূল্যবৃদ্ধি ২.৬ শতাংশ থাকবে।

পাইকারি পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির এই প্রবণতা মূলত পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হয়েছে। মে মাসে পণ্যমূল্য ০.২ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে পরিষেবা খাতে মূল্য বেড়েছে ০.১ শতাংশ।

তবে, খাদ্য ও জ্বালানি পণ্যের দাম স্থিতিশীল ছিল। খাদ্যপণ্যের দাম ০.১ শতাংশ বাড়লেও, জ্বালানির দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

যদিও খাদ্য ও জ্বালানি বাদে অন্যান্য পণ্যের দাম বেড়েছে, যার পেছনে শুল্কের প্রভাব থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে যদিও মাসিক তথ্য অস্থির হতে পারে, কিন্তু উৎপাদক পর্যায়ে ভোগ্যপণ্যের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

মে মাসে টেকসই ভোগ্যপণ্যের দাম ০.৪ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ মাসিক বৃদ্ধি।

বিশেষজ্ঞ ক্রিস রুপকের মতে, উৎপাদক পর্যায়ে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে, খুব শীঘ্রই এর প্রভাব ভোক্তাদের উপর পড়তে পারে।

অর্থাৎ, বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়তে পারে।

এদিকে, খাদ্য ও জ্বালানি বাদে, মূল বা কোর পিপিআই (core PPI) -ও সামান্য বেড়েছে। এপ্রিল মাস থেকে এই খাতে ০.১ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।

বার্ষিক ভিত্তিতে, কোর পিপিআই-এর মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৩ শতাংশ হয়েছে, যা আগের মাসে ছিল ৩.১ শতাংশ।

পিপিআই-এর এই তথ্য ভবিষ্যতের খুচরা মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দিতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (Consumer Price Index – CPI)-এর তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ মানুষের ক্রয় করা পণ্য ও পরিষেবার মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল।

তবে, অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন যে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের জন্য কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

বিশ্ব অর্থনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মূল্যস্ফীতির প্রভাব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *