রেকর্ড পতন! এপ্রিল মাসে পাইকারি বাজারে স্বস্তি, স্বস্তি!

যুক্তরাষ্ট্রে পাইকারি বাজারে দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে, যা এপ্রিল মাসের হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের পর সর্বোচ্চ পতন। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুসারে, উৎপাদক মূল্য সূচক (Producer Price Index – PPI) বা পাইকারি মূল্যস্ফীতির গুরুত্বপূর্ণ পরিমাপ, দেখিয়েছে যে এপ্রিল মাসে মার্কিন উৎপাদকদের প্রদত্ত পণ্যের দাম আগের মাসের তুলনায় ০.৫ শতাংশ কমেছে।

অর্থনীতিবিদদের ধারণা ছিল দাম ০.২ শতাংশ বাড়বে, সেই তুলনায় এই পতন অনেক বেশি।

বার্ষিক ভিত্তিতে, মূল্যস্ফীতি মার্চ মাসের ৩.৪ শতাংশ থেকে কমে ২.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ব্যুরো অফ লেবার স্ট্যাটিস্টিক্সের তথ্য অনুযায়ী এই চিত্র পাওয়া গেছে। সাধারণত, পাইকারি বাজারের এই সূচক খুচরা বাজারের মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেয়।

অর্থাৎ, ভবিষ্যতে ভোক্তাদের জিনিসপত্রের দামে কেমন পরিবর্তন আসতে পারে, তার একটা ধারণা পাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমতির দিকে। তবে, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে ভবিষ্যতে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কারণ, এই শুল্কগুলি আমদানি করা পণ্যের উপর কর বৃদ্ধি করে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তাদের জন্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির এই পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে।

তাই, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দাম কমলে, আমদানি করা পণ্যের দামেও তার প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া, বিশ্ব অর্থনীতির উপর এর একটি প্রভাব থাকতে পারে।

তবে, অর্থনীতির এই পরিবর্তনগুলি বাংলাদেশের বাজারে কেমন প্রভাব ফেলবে, তা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করবে।

আমদানি নীতি, স্থানীয় বাজারের চাহিদা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি—এসব কিছু বিবেচনা করে তবেই একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যেতে পারে। এই মুহূর্তে, অর্থনীতিবিদরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন এবং ভবিষ্যতে এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *