যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা আইস হকি দল এক শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচে কানাডাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেছে। রোববার অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ানোর পর টেসা জেনেকির করা গোলে যুক্তরাষ্ট্রের জয় নিশ্চিত হয়।
চেক প্রজাতন্ত্রের সেস্কে বুদেজোভিচে অনুষ্ঠিত হওয়া এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল উত্তেজনায় ভরপুর, যেখানে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল সোনার পদকের জন্য লড়েছিল।
খেলা শুরুর আগে থেকেই সবার নজর ছিল এই ম্যাচটির দিকে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যেকার লড়াই সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দুই দলের খেলোয়াড়দের দক্ষতা এবং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা খেলার আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তোলে।
ম্যাচের শুরুটা তেমন গোলের দেখা না পেলেও, দ্বিতীয়ার্ধে খেলা জমে ওঠে। এই সময়ে দুই মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে চারটি গোল হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ক্যারোলিন হার্ভে এবং অ্যাবি মারফি গোল করেন। তবে, কানাডার পক্ষে ড্যানিয়েল সার্ডাচনি এবং জেনিফার গার্ডিনারও গোল পরিশোধ করেন।
তৃতীয় কোয়ার্টারে, যুক্তরাষ্ট্র পাওয়ার প্লে-এর সুবিধা কাজে লাগিয়ে টেলর হেইসের গোলে এগিয়ে যায়। এরপর কানাডা খেলায় ফিরে এসে সারাহ ফিলিয়ারের গোলে সমতা আনে এবং খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।
অতিরিক্ত সময়ে গোলরক্ষক গুইনেথ ফিলিপসের গুরুত্বপূর্ণ সেভগুলি যুক্তরাষ্ট্রের জয় নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। অবশেষে, টেসা জেনেকির জয়সূচক গোলে যুক্তরাষ্ট্র ১১তম বারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়।
এর আগে, ব্রোঞ্জ পদকের জন্য হওয়া ম্যাচে ফিনল্যান্ড ৪-৩ গোলে চেক প্রজাতন্ত্রকে হারায়। উল্লেখ্য, এবারের টুর্নামেন্টটি ছিল অত্যন্ত সফল।
প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার দর্শক খেলা উপভোগ করতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন, যা আগের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে গেছে।
এই জয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী কানাডার থেকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এই টুর্নামেন্টটি কেবল একটি খেলার প্রতিযোগিতা ছিল না, বরং উভয় দলের খেলোয়াড়দের দক্ষতা, কৌশল এবং মানসিক দৃঢ়তার এক দারুণ উদাহরণ তৈরি করেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান