যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ রাজ্যে, এক ভয়াবহ ঘটনায়, ডমিনিক গার্সিয়া নামের ২৩ বছর বয়সী এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, তিনি তার প্রেমিকা এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রায় ছয় মাস ধরে জিম্মি করে রেখেছিলেন। ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন গার্সিয়া পরিবারটিকে জানান যে তিনি তাদের একটি ‘কুখ্যাত অপরাধ চক্র’ থেকে রক্ষা করছেন।
খবর অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে গার্সিয়া ওই পরিবারের সাথে বসবাস শুরু করেন। এরপর থেকেই তিনি পরিবারের সদস্যদের ওপর নানাভাবে খবরদারি করতে থাকেন।
তিনি তাদের ফোন ব্যবহার সীমিত করেন, বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিতেন সীমিত সময়ের জন্য। এমনকি, পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
অভিযোগপত্রে জানা যায়, গার্সিয়া পরিবারের সদস্যদের ‘কার্তেলের ভয়ে ভীত’ করে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি তাদের এমনটাও বলেছিলেন যে, ‘কার্তেলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে’ তার কথা মতো চলতে হবে।
পরিবারের সদস্যরা গার্সিয়ার ভয়ে এতটাই ভীত ছিলেন যে, নিজেদের সুরক্ষার জন্য একটি আগ্নেয়াস্ত্র কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন। গার্সিয়া এরপর সেই অস্ত্র নিয়ে তাদের ভয় দেখাতেন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন, তরুণী ‘এইচএস’, যিনি গার্সিয়ার নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাকে কঠোর ‘বুট ক্যাম্পে’ অংশ নিতে বাধ্য করা হতো। যেখানে তাকে প্রতিদিন একাধিকবার শারীরিক কসরত করতে হতো, বরফের পানিতে ডুব দিতে হতো, এমনকি শ্বাস নিতেও কষ্ট হতো।
এছাড়াও, গার্সিয়া তার প্রেমিকা এবং পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিতেন। এমনকি তিনি তাদের পোষা কুকুরদেরও নির্যাতন করতেন।
অবশেষে, পরিবারের সদস্যরা সাহস করে পুলিশের সাহায্য চান। গত ১৭ই মে, শনিবার, পুলিশ এসে গার্সিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের পর গার্সিয়া স্বীকার করেছেন যে, কার্তেল সম্পর্কিত তার সমস্ত দাবি ছিল মিথ্যা। তিনি জানান, ভয়ে তিনি তাদের নিয়ন্ত্রণ করা বন্ধ করতে পারেননি।
গার্সিয়ার বিরুদ্ধে অপহরণ, মারধর, এবং ভীতি প্রদর্শনের মতো ২৮টি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি জামিন অযোগ্য অবস্থায় কারাগারে রয়েছেন।
পরিবার এখনও তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত এবং তাদের আশঙ্কা, গার্সিয়া মুক্তি পেলে তাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপলস।