ভ্যাকান সিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা, অভিবাসন নিয়ে মুখ খুলল পোপ!

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স সম্প্রতি ভ্যাটিকানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। অভিবাসী, শরণার্থী এবং কারাবন্দী বিষয়ক নীতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিসের তীব্র সমালোচনার পরেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতি নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করা হয়।

ভ্যাটিকান সিটি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অভিবাসী ও শরণার্থীদের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি এবং ক্যাথলিক চার্চের ভূমিকা নিয়েও কথা হয়।

ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স ইস্টার উইকেন্ডে পরিবারের সঙ্গে রোমে ছিলেন এবং সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় গুড ফ্রাইডেService-এ অংশ নেন। শনিবার সকালে তিনি কার্ডিনাল পিয়েত্রো পারোলিন এবং আর্চবিশপ পল গ্যালাঘেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

তবে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে তার কোনো বৈঠক হয়নি।

বৈঠকের পূর্বে, কার্ডিনাল পারোলিন ইতালির একটি সংবাদপত্রে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, বর্তমান মার্কিন প্রশাসন তাদের প্রত্যাশা থেকে ভিন্ন। তিনি আরও জানান, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ভ্যাটিকান ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করে এবং দেশটির আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে পোপ ফ্রান্সিস ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেন। তিনি ‘অর্ডার অফ লাভ’ বিষয়ক একটি ধারণাকে সমর্থন করেন এবং মার্কিন বিশপদের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেন।

বৈঠকে উভয় পক্ষই যুক্তরাষ্ট্র ও ভ্যাটিকানের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে। এছাড়া, ধর্ম ও বিবেকের স্বাধীনতার অধিকার রক্ষায় তারা একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

বৈঠকে মানবাধিকার, বিশেষ করে অভিবাসী ও শরণার্থীদের অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়। ভ্যাটিকান সাম্প্রতিক সময়ে মানবিক সহায়তা বিষয়ক বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে। উভয় পক্ষই সংকট মোকাবিলায় সহযোগিতা চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *