ভোট: ভেনেজুয়েলার নির্বাচনে বিরোধীতা ও উদ্বেগের ছায়া!

ভেনেজুয়েলায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম আকার ধারণ করেছে। একদিকে যেমন বিরোধী দল নির্বাচনের বিরোধিতা করছে, তেমনি সরকারের দমননীতি নিয়েও উঠেছে গুরুতর অভিযোগ।

ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে দ্বিধা। অনেকে মনে করছেন, নির্বাচনের ফল কারচুপির শিকার হতে পারে।

বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাদের মতে, ভোটারদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাদুরো সরকারের বৈধতা দেওয়া হবে।

গত বছর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। নির্বাচনের ফল নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় অনেক ভোটার এবার ভোট দিতে আগ্রহী নন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশের সম্ভাবনা খুবই কম। ভোট কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত পর্যবেক্ষক নাও থাকতে পারে।

তাছাড়া, ভোটারদের মধ্যে প্রার্থী সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই। অনেকেই মনে করেন, ভোট দিলে হয়তো তাদের চাকরি অথবা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক ভোটারই ভোট দিতে ভয় পাচ্ছেন।

বিরোধী দলের কয়েকজন নেতা নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের যুক্তি, ভোটের মাধ্যমে মাদুরো সরকারের বিরুদ্ধে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশের সুযোগ রয়েছে। তারা মনে করেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।

এদিকে, মাদুরো সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং তাদের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তারা বলছে, বিরোধী দল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

ভোটের আগের দিন বিরোধী দলের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সরকার নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে। রাজধানী কারাকাসে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ভোটারদের চেয়ে বেশি দেখা গেছে।

আগের নির্বাচনগুলোতেও কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। এরপর বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অনেকেই ভোট দিতে ভয় পাচ্ছেন, কারণ তারা মনে করেন ভোট দিলে হয়তো তাদের ওপর প্রতিশোধ নেওয়া হবে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *