গেমের ইতিহাসে সেরা ১২টি বাড়ি: দেখলে গা শিউরে উঠবে!

ভিডিও গেমের জগতে, বাড়িগুলো নিছক আশ্রয়স্থল নয়, বরং গল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

কোনোটা রহস্যে ঘেরা, কোনোটা আবার সাহসিক অভিযানের কেন্দ্রবিন্দু। গেমারদের গেমিং অভিজ্ঞতায় এই বাড়িগুলো এক একটি বিশেষ স্থান তৈরি করে। চলুন, আজ এমনই কিছু অসাধারণ বাড়ি নিয়ে আলোচনা করা যাক, যা গেমের ইতিহাসে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে।

প্রথমে আসা যাক ‘ব্লু প্রিন্স’-এর ‘মাউন্ট হলি’র কথা। এই গেমটি একটি ধাঁধার মতো, যেখানে খেলোয়াড় একটি অদ্ভুত আত্মীয়ের রেখে যাওয়া বাড়িতে প্রবেশ করে।

বাড়িটির প্রতিটি ঘর যেন এক একটি রহস্য, আর খেলোয়াড়কে বেছে নিতে হয় কোন ঘরে সে যাবে।

এরপর রয়েছে ‘ম্যানিয়াক ম্যানশন’-এর ‘এডিসন ম্যানশন’। ক্লাসিক এই ভৌতিক বাড়িটি কাহিনীর গভীরতা যোগ করে।

এখানে বিভিন্ন ভুতুড়ে কাণ্ড ঘটলেও, চরিত্রগুলো বেশ মজার।

‘রেসিডেন্ট ইভিল’ গেমের ‘স্পেন্সার ম্যানশন’ যেন এক বিভীষিকাময় জগৎ।

র‍্যাকুন সিটির বাইরের ‘আর্কলে’ পর্বতমালার মাঝে অবস্থিত এই বাড়িটি আসলে একটি বিশাল ফাঁদ, যেখানে নানা ধাঁধা এবং দানবের আনাগোনা।

‘হোয়াট রিমেইন্স অফ এডিথ ফিঞ্চ’-এর ‘ফিন্চ হাউস’ একটি অন্যরকম অভিজ্ঞতা।

আলাস্কার ‘গুজ ক্রিক টাওয়ার’-এর আদলে তৈরি এই বাড়িটি যেন এক পরিবারের শোকের প্রতিচ্ছবি।

ক্লাসিক প্ল্যাটফর্মার ‘জেট সেট উইলি’র ‘ম্যানশন’ এক অদ্ভুত জগৎ।

এখানে ঘরগুলো যেন এক একটি দুঃস্বপ্নের মতো, যেখানে বাথরুমের সিট থেকে শুরু করে বিশাল আকারের গাছ পর্যন্ত দেখা যায়।

‘এনিম্যাল ক্রসিং: নিউ হরিজনস’-এর ‘আইল্যান্ড কুটির’ খেলোয়াড়দের নিজেদের বাড়ি সাজানোর সুযোগ দেয়।

এখানে ওয়ালপেপার থেকে শুরু করে ইনডোর প্ল্যান্ট—সবকিছুই নিজের পছন্দ অনুযায়ী সাজানো যায়।

‘জেলডা: টোয়াইলাইট প্রিন্সেস’-এর ‘স্নো peak ruins’ গেমারদের কাছে একটি বিশেষ স্থান।

পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এই বাড়িটি উষ্ণতা এবং শান্তির প্রতীক।

‘টomb Raider’-এর ‘ক্রফট ম্যানর’ গেমারদের কাছে খুবই পরিচিত।

লারা ক্রফটের এই বাড়িটি যেন তার সাফল্যের প্রতীক। বিশাল আকারের ঘর এবং একটি গোপন বাগান এই বাড়ির বিশেষত্ব।

‘লুইজি’স ম্যানশন’-এর কথা না বললেই নয়। এই গেমে লুইগির ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছে, যা আগে দেখা যায়নি।

বাড়ির প্রতিটি কোণে ভুতুড়ে পরিবেশ গেমটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

‘বিয়ন্ড গুড অ্যান্ড ইভিল’-এর ‘লাইthouse’-এ জেড নামের এক ফটোসাংবাদিকের জীবনযাত্রা তুলে ধরা হয়েছে।

একটি লাইটহাউস, যা আশ্রয়কেন্দ্র এবং অনাথ আশ্রম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।

‘বোটানি ম্যানর’-এর বাড়িটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এখানে খেলোয়াড়দের ফুল ফোটানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করতে হয়।

সবশেষে, ‘ফ্যান্টাসমাগোরিয়া’র ‘কার্নোভাশ এস্টেট’-এর কথা বলতে হয়।

এই বাড়িতে লেখিকা অ্যাড্রিয়েন ডেলানি-র অনুপ্রেরণা খুঁজতে আসা এবং তার সাথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার সাক্ষী থাকা যায়।

ভিডিও গেমের এই বাড়িগুলো শুধু খেলার জগৎকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে না, বরং গেমারদের মনে গেঁথে থাকে এক একটি বিশেষ স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে।

তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক গেমিং বিষয়ক বিভিন্ন প্রকাশনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *