ট্রাম্পের শুল্ক: ভিয়েতনামের চোখে জল, বাণিজ্য আলোচনায় কী হবে?

ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়েছে। ভিয়েতনামের লক্ষ্য হলো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করতে চাওয়া ৪৬ শতাংশ শুল্কের আঘাত থেকে নিজেদের অর্থনীতিকে বাঁচানো। বৃহস্পতিবার দুই দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের মধ্যে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই আলোচনা শুরু হয়।

ভিয়েতনামের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী নুয়েন হং ডিয়েন এবং মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জ্যামিসন এল গ্রিয়ারের মধ্যে এই আলোচনা হয়। ভিয়েতনামের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি “ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব” তৈরি করতে চায় এবং “ভারসাম্যপূর্ণ, স্থিতিশীল, টেকসই ও কার্যকর উপায়ে” অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী।

আলোচনায় ভিয়েতনাম জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়গুলো সমাধানে প্রস্তুত এবং উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক সমাধানে পৌঁছাতে চায়। মার্কিন প্রতিনিধিও দ্রুত ইতিবাচক সমাধানে আসার ব্যাপারে আস্থা প্রকাশ করেছেন।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রেক্ষাপটে ভিয়েতনামের অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশটির মোট জাতীয় উৎপাদনে (জিডিপি) রপ্তানির অবদান ছিল ৮৭ শতাংশের বেশি। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের এই শুল্ক প্রস্তাব কার্যকর হলে তা ভিয়েতনামের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হতো।

যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভিয়েতনামের রপ্তানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। গত বছর ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১২৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত অর্জন করেছে। এই বাণিজ্য উদ্বৃত্তের দিক থেকে চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মেক্সিকোর পরেই ভিয়েতনামের অবস্থান।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিয়েতনামের এই ঘটনাপ্রবাহ থেকে বাংলাদেশের জন্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে। বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *