ভিস নিলের সন্তানেরা: শোক আর ভালোবাসার এক অসাধারণ কাহিনী!

ভিন্স নীল: রক সঙ্গীতের জগৎ থেকে পরিবারের প্রতিচ্ছবি।

সঙ্গীতের জগতে খ্যাতিমান এক নাম ভিন্স নীল। জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘মটলি ক্রু’-এর এই প্রধান গায়ক শুধু তাঁর গান দিয়ে নয়, বরং পরিবারের প্রতি ভালোবাসার জন্যও পরিচিত। তাঁর জীবনে, সঙ্গীতের মতোই গুরুত্বপূর্ণ তাঁর সন্তানরা। আসুন, আজ আমরা তাঁর জীবন এবং সন্তানদের সম্পর্কে কিছু কথা জানি।

ভিন্স নীলের প্রথম সন্তান, পুত্র নীল-এর জন্ম হয় ১৯৭৮ সালে। তাঁর মা ছিলেন তামি জোন্স। কৈশোরেই পিতৃত্বের স্বাদ পাওয়া ভিন্স নীল, শুরুতে হয়তো বাবা হিসেবে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত ছিলেন না। তবে তাঁর বাবা-মা, অর্থাৎ নীতের ঠাকুরমা-ঠাকুরদা, ছেলেকে মানুষ করতে সাহায্য করেছিলেন।

নীল বর্তমানে ‘রক ‘এন’ রোল জাঙ্কিস’ নামক একটি ব্যান্ডের প্রধান।

এর পাঁচ বছর পর, ১৯৮৩ সালে, ভিন্স ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী বেথ লিনের কন্যা, এলে-র জন্ম হয়। এলে বাবার মতোই সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগী। তিনি ‘লুমিস অ্যান্ড দ্য লাস্ট’ নামের একটি ব্যান্ডের বেসিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন।

বাবা ভিন্সের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে তাঁর গান গাওয়ার ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়।

তবে, ভিন্স নীলের জীবনে সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি ঘটে ১৯৯১ সালে, যখন তাঁর কনিষ্ঠ কন্যা স্কাইলারের জন্ম হয়। শৈশবে, মাত্র চার বছর বয়সে, কিডনির ক্যান্সার ‘উইলম’স টিউমার’-এ আক্রান্ত হয়ে স্কাইলারের জীবনাবসান হয়। এই শোক আজও ভিন্স নীলকে নাড়া দেয়।

তিনি একবার বলেছিলেন, “আমি প্রতিদিন স্কাইলারের কথা ভাবি।”

প্রিয় কন্যার স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে, ভিন্স নীল ‘স্কাইলার নীল মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’ তৈরি করেন। এই ফাউন্ডেশন শিশু ক্যান্সার, লিউকেমিয়া এবং এইডস-এর মতো রোগের গবেষণা ও চিকিৎসার জন্য কাজ করে চলেছে। এটি প্রায় ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি টাকার সমান) সংগ্রহ করেছে।

ভিন্স নীল তাঁর সন্তানদের সঙ্গে সবসময় একটি দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

তিনি একবার বলেছিলেন, “আমি এলে-র কথা শুনতে ভালোবাসি। সে খুব বুদ্ধিমান এবং সে কি চায়, সে বিষয়ে তার স্পষ্ট ধারণা আছে।”

ভিন্স নীল-এর পুত্র ও কন্যা দুজনেই এখন বাবা-মা।

নীলের একটি ছেলে আছে, যার নাম ট্রেস। আর এলে-র মেয়ের নাম হেইলি মেরি।

একটি সাক্ষাৎকারে ভিন্স নীল বলেছিলেন, “সময় হয়তো সব শোক ভুলিয়ে দেয়, কিন্তু কিছু স্মৃতি সবসময় মনের গভীরে থেকে যায়।” স্কাইলারের স্মৃতি আজও তাঁর হৃদয়ে অমলিন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *