লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানল এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অভিনেতা বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার গার্নারের মেয়ে ভায়োলেট অ্যাফ্লেক।
বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ভায়োলেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ্লোবাল হেলথ রিভিউ’-এ একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। সেখানে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসেডস অঞ্চলে সংঘটিত দাবানলের প্রেক্ষাপটে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন।
প্রবন্ধে ভায়োলেট উল্লেখ করেছেন, কীভাবে দাবানলের সময় তার মা জেনিফার গার্নারের সঙ্গে তার ভিন্নমত হয়েছিল।
তিনি লিখেছেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে তার মা হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তবে ভায়োলেটের মতে, একজন ‘জলবায়ু-সচেতন’ তরুণ হিসেবে এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন।
শুধু মা-ই নন, ছোট ভাই স্যামুয়েলও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তার কাছে প্রশ্ন করেছিল।
ভায়োলেট জানান, স্যামুয়েল জানতে চেয়েছিল, ‘বৈশ্বিক উষ্ণতার সঙ্গে কি বাতাসের গতির কোনো সম্পর্ক আছে?’ তিনি আশা করেন, তার ছোট ভাইয়ের চেয়ে এখন অনেকেই জলবায়ু সংকট সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ অতিমারীর সময়কালে জনস্বাস্থ্য নিয়ে সরব হয়েছিলেন ভায়োলেট।
এমনকি, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি বোর্ড অফ সুপারভাইজরস-এর একটি মিটিংয়ে মাস্ক পরার বিধিনিষেধ বহাল রাখার পক্ষেও তিনি কথা বলেছিলেন। এছাড়া, নিজের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি অভিজ্ঞতাও তিনি সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন।
মা জেনিফার গার্নার বরাবরই মেয়ের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
তিনি একাধিকবার বলেছেন, ভায়োলেট একজন ‘স্ব-উদ্যোগী’ মানুষ। মেয়ের এই সাফল্যে তিনি গর্বিত। জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভায়োলেটের এই কাজ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।
তথ্য সূত্র: পিপল