সাত বছর বয়সে পরিচয়, ষোল বছর পর প্রথম সন্তানের আগমন – এমনই এক ভালোবাসার গল্প সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ম্যাট এবং খারলি কুনারাসা নামের এক যুগলের এই অসাধারণ প্রেম কাহিনী এখন অনেকের কাছেই দৃষ্টান্ত। তাদের সম্পর্কের শুরুটা হয়েছিল একটি চার্চের সানডে স্কুলে, যেখানে তাদের প্রথম দেখা হয়।
ছোট্টবেলার সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ধীরে ধীরে ভালোবাসায় পরিণত হয়। কৈশোরেই তারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং অবশেষে তাদের ভালোবাসার পূর্ণতা আসে যখন তারা তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম দেন।
সম্প্রতি, এই দম্পতির একটি ভিডিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, যেখানে তাদের দীর্ঘ পথচলার কিছু মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, খারলি যখন হাসপাতালে তাদের সন্তানের জন্য অপেক্ষা করছেন, তখন ম্যাট তার পাশে ছিলেন।
ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল, “সাত বছর বয়সে যার সাথে দেখা, ষোল বছর পর সেই মানুষটি যখন তোমার প্রথম সন্তানকে কোলে নেয়…।
তাদের প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে খারলি জানান, তাদের প্রথম আলাপ হয়েছিল বেশ মজার একটি ঘটনার মধ্যে দিয়ে।
তার বোন মেঝেতে খাবার ফেলে দিলে তারা দুজনেই হাসাহাসি করতে শুরু করেন। সেই হাসি-ঠাট্টার মধ্যে দিয়েই তাদের বন্ধুত্ব শুরু হয়, যা সময়ের সাথে সাথে গভীর হয়।
আট বছর বয়সে তারা একে অপরের জন্মদিনের জন্য উপহার তৈরি করা শুরু করেন।
এরপর, দশ বছর বয়সে তাদের সম্পর্ক ভালোবাসার দিকে মোড় নেয়। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে তারা যখন বড় হতে থাকেন, তাদের সম্পর্কের গভীরতা আরও বাড়ে।
অবশেষে, তারা তাদের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন এবং তাদের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান।
সন্তান আসার পর তাদের জীবনে কিছু পরিবর্তন এসেছে, তবে তারা তাদের সম্পর্কের গুরুত্ব সবসময় অনুভব করেছেন।
তারা সবসময় চেয়েছেন সন্তানের আগমনের পরেও যেন তাদের নিজেদের মধ্যেকার ভালোবাসার গভীরতা অটুট থাকে। তারা মনে করেন, একে অপরের প্রতি গভীর আস্থা ও শ্রদ্ধাবোধ তাদের সম্পর্ককে টিকিয়ে রেখেছে।
তাদের মতে, যেকোনো সম্পর্কের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি হলো একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও ক্ষমাশীলতা বজায় রাখা। তারা সবসময় চেষ্টা করেছেন একে অপরের অনুভূতিকে সম্মান জানাতে এবং নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও গভীর করতে।
তাদের এই যাত্রা অন্যদেরও দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের প্রতি উৎসাহিত করে। তাদের ভালোবাসার গল্প প্রমাণ করে, ছোটবেলার বন্ধুত্বও ভালোবাসার শক্তিশালী ভিত্তি হতে পারে।
ম্যাট ও খারলির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, তারা তাদের সন্তানের জীবনের প্রতিটি ধাপে একসঙ্গে থাকতে চান। তারা চান, তাদের ছেলে যেন তাদের মতোই ভালোবাসাপূর্ণ একটি জীবন পায়।
তথ্য সূত্র: পিপল