প্রেমিকার প্যান্ট সেলাই: অতঃপর যা ঘটল, দেখলে চমকে যাবেন!

শিরোনাম: কানাডীয় যুগলের নতুন দৃষ্টান্ত: পুরুষের গৃহকর্ম ও সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা

কানাডার বাসিন্দা উইলিয়াম কনরাড এবং তাঁর বাগদত্তা লেভি কোরালাইন-এর জীবনযাত্রা বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার বিষয়।

উইলিয়াম, যিনি পেশাগতভাবে একজন “গৃহ-কর্তা” (stay-at-home boyfriend), তাঁর বাগদত্তার পোশাক পরিবর্তনের একটি ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে শেয়ার করার পরেই ব্যাপক পরিচিতি পান।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, লেভির জন্য উইলিয়াম প্যান্ট সেলাই করছেন, কারণ লেভি আকারে ছোট হওয়ায় তাঁর পোশাক প্রায়ই পরিবর্তন করতে হয়।

উইলিয়ামের এই কাজটি নারী-পুরুষের চিরাচরিত ধারণা ভেঙে দিয়েছে।

তিনি লেভিকে তাঁর কর্মজীবনে মনোযোগ দিতে সাহায্য করেন এবং ঘরের যাবতীয় কাজকর্মের দায়িত্ব পালন করেন।

রান্না করা থেকে শুরু করে কাপড় ধোয়া বা আলমারি গোছানো – সবই তাঁর দৈনন্দিন কাজের অংশ।

টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা বর্তমানে লক্ষাধিক।

উইলিয়ামের এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

অনেকে তাঁর এই কাজে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন এবং সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

অনেকেই মন্তব্য করেছেন, “এমন ভালোবাসা যেন আমাদেরও কপালে জোটে।”

আবার কেউ কেউ মজা করে লিখেছেন, “মনে হচ্ছে লেভি উইলিয়ামকে একটি কারখানায় তৈরি করেছেন।”

উইলিয়াম সম্প্রতি বিজনেস ইনসাইডারে একটি নিবন্ধ লিখেছেন, যেখানে তিনি এই জীবন বেছে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, লেভি একজন সফল সামাজিক মাধ্যম প্রভাবশালী এবং তাঁর আয়ের ওপর ভিত্তি করে তাঁরা দু’জন ভালোভাবেই জীবন যাপন করছেন।

উইলিয়াম বলেন, “আমি কখনোই আমার চাকরিটি অপছন্দ করিনি, তবে এই কাজটি আমার জন্য আরও উপযুক্ত ছিল।

রান্নাবান্না এবং সেলাইয়ের প্রতি আমার আগ্রহ ছিল, যা এখানে ভালোভাবে চর্চা করার সুযোগ পেয়েছি।”

উইলিয়াম আরও উল্লেখ করেন, তিনি এমন একটি পরিবারে বেড়ে উঠেছেন যেখানে বাবা-মা দু’জনেই ঘরোয়া কাজগুলো ভাগ করে নিতেন।

তাঁর মতে, সামাজিক মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্কের ধারণাগুলো পরিবর্তিত হচ্ছে।

অনেক নারী চান তাঁদের সঙ্গীর কাছ থেকে একটু বেশি যত্ন এবং সহযোগিতা, যা উইলিয়ামের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, আধুনিক সমাজে সম্পর্কের ধারণাগুলো কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে।

যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে একে অপরের প্রতি সহযোগী এবং সমর্থনকারী হওয়ার মানসিকতা দেখা যায়।

এটি কেবল একটি যুগলের গল্প নয়, বরং একটি নতুন পথের সূচনা, যা সমাজের চোখে সম্পর্কের চিরাচরিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানায়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *