শিরোনাম: কুমারীত্বের অচেনা পথে: ব্রিটিশ রিয়েলিটি শো ‘ভার্জিন আইল্যান্ড’
বর্তমান যুগে সম্পর্কের জটিলতা এবং যৌনতার ধারণা নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। সেই প্রেক্ষাপটে, ব্রিটেনের একটি টেলিভিশন চ্যানেল, চ্যানেল ফোর (Channel 4) –এ সম্প্রতি শুরু হয়েছে একটি নতুন রিয়েলিটি শো, যার নাম ‘ভার্জিন আইল্যান্ড’।
এই অনুষ্ঠানটি মূলত একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে, যেখানে ১২ জন কুমারী, যাদের বয়স কুড়ি থেকে ত্রিশের মধ্যে, একটি ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপে একত্রিত হন। সেখানে তারা মনো-যৌন বিশেষজ্ঞের (relationship specialists) তত্ত্বাবধানে তাদের ব্যক্তিগত অন্তরঙ্গতা বিষয়ক সমস্যাগুলি সমাধানের চেষ্টা করেন।
অনুষ্ঠানটির মূল ধারণা হলো, অংশগ্রহণকারীদের কুমারীত্বের কারণ অনুসন্ধান করা এবং এই বিষয়ে তাদের মধ্যে থাকা দ্বিধা ও উদ্বেগকে দূর করা। এই উদ্দেশ্যে, সেখানে বিশেষ সেশন ও থেরাপি সেশন-এর ব্যবস্থা করা হয়।
সেই সেশনগুলোতে তারা একে অপরের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতিগুলো ভাগ করে নেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন জেসন নামের একজন ২৫ বছর বয়সী ব্যক্তি, যিনি স্পর্শভীতিতে (phobia of touch) ভোগেন। এছাড়া রয়েছেন ২৮ বছর বয়সী জ্যাক, যিনি মনে করেন বন্ধুদের থেকে পিছিয়ে পড়েছেন।
তাদের সঙ্গে আছেন ২৩ বছর বয়সী এমা, যিনি আত্ম-সম্মান ও শরীরের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করেন। এছাড়াও ২৯ বছর বয়সী টেইলর, যিনি শুরুতে এই অভিজ্ঞতার কারণে হতাশ হয়ে পড়েন।
আলোচনা সমালোচনার ঊর্ধ্বে, অনুষ্ঠানটি তাদের জীবনের গভীর ক্ষতগুলোকে তুলে ধরেছে। অংশগ্রহণকারীরা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা দর্শকদের সহানুভূতি আকর্ষণ করতে পারে।
তবে, এই ধরনের অনুষ্ঠানে কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক দেখা যেতে পারে। যেমন, থেরাপির অংশ হিসেবে কিছু ক্ষেত্রে স্পর্শ বিষয়ক কার্যক্রম অথবা বিশেষ অনুশীলনগুলি (body work) দর্শকদের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
ব্রিটিশ সংস্কৃতির প্রেক্ষাপটে নির্মিত হলেও, এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে।
কারণ, এটি আমাদের সমাজে সম্পর্ক, যৌনতা এবং ব্যক্তিগত অনুভূতির মতো বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করে। তবে, অনুষ্ঠানটির বিষয়বস্তু এবং উপস্থাপনা অবশ্যই আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান