আত্মহত্যার শিকার ভার্জিনিয়া গিফ্রে: গোপনে সম্পন্ন হলো শেষকৃত্য, সবাই হতবাক!

ভার্জিনিয়া গিউফ্রের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, যিনি ছিলেন যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ। অস্ট্রেলিয়ায় এক ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তাঁর বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ৪১ বছর বয়সী গিউফ্রে গত ২৪শে এপ্রিল আত্মহত্যা করেন।

গিউফ্রের পরিবার এক বিবৃতিতে জানান, দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর তিনি আত্মহত্যা করেছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভার্জিনিয়া ছিলেন যৌন নির্যাতন ও পাচার বিরোধী লড়াইয়ের এক অকুতোভয় যোদ্ধা।

তিনি ছিলেন এমন এক আলো, যা অনেক ক্ষতিগ্রস্থকে সাহস জুগিয়েছে।”

গিউফ্রের পরিবারের শোক প্রকাশ করে তাঁর বোন আমান্ডা রবার্টস জানান, “আমরা একজন লড়াকু যোদ্ধাকে হারালাম।

তিনি চেয়েছিলেন, সকল ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়। তিনি ছিলেন অসাধারণ এক মানুষ।”

গিউফ্রের মৃত্যুর আগে বেশ কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়।

তিনি ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হওয়া কুখ্যাত ফাইনান্সার জেফরি এপস্টাইন এবং ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন। এছাড়াও, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধেও তিনি একই অভিযোগ করেন।

২০২৩ সালের আগস্টে তিনি তাঁর স্বামী রবার্ট গিউফ্রের থেকে আলাদা হন।

এর আগে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েক দিন আগে, তিনি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে একটি স্কুল বাসের সঙ্গে তাঁর গাড়ির ধাক্কা লেগেছিল, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন।

যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের সহায়তার জন্য গিউফ্রে ‘স্পিক আউট, অ্যাক্ট, রিক্লেইম’ (SOAR) নামে একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

যদি কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যার কথা বিবেচনা করেন, তবে অনুগ্রহ করে কাছাকাছি কোনো মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার জন্য, যে কোনো সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এছাড়াও, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও এই বিষয়ে সহায়তা করে থাকে।

যৌন নির্যাতনের শিকার হলে, দ্রুত স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে অথবা কোনো সাহায্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *