যুক্তরাষ্ট্রের মেইনে অবস্থিত লবস্টার জাদুঘর এখন ভার্চুয়ালি!
বিশ্বজুড়ে যারা লবস্টার ভালোবাসেন, তাদের জন্য সুখবর! মেইনের লবস্টার এখন আর শুধু রেস্টুরেন্টে বসে উপভোগ করার বিষয় নয়।
ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে, মেইনের লবস্টার জাদুঘর এখন ভার্চুয়ালি ঘুরে আসা সম্ভব। যে কোনো ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে, পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে এই জাদুঘরের ডিজিটাল প্রদর্শনী উপভোগ করা যাবে।
এই অভিনব উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন সেবাস্তিয়ান ক্রিসি। তার মতে, এই ভার্চুয়াল জাদুঘরের মূল আকর্ষণ হলো “Claws of Culture” প্রদর্শনী।
এখানে লবস্টারের সংস্কৃতিগত তাৎপর্য তুলে ধরা হয়েছে। ফ্যাশন, ঐতিহাসিক চিত্রকর্ম, চলচ্চিত্র এবং সাহিত্য থেকে বিভিন্ন উপাদান একত্রিত করে লবস্টারের প্রতি মানুষের আগ্রহকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
জাদুঘরের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা তৈরি করতে ক্রিসি এবং তার স্ত্রী কোরাল আট মাস ধরে পরিকল্পনা, নকশা এবং গবেষণার কাজ করেছেন।
তাদের মতে, এই ভার্চুয়াল জাদুঘরটি মেইনে সরাসরি যেতে পারেন না এমন মানুষের কাছেও লবস্টার সম্পর্কে ধারণা পৌঁছে দেবে।
মেইনের অর্থনীতির জন্য লবস্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর এটি হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করে এবং বিপুল পরিমাণ রাজস্ব যোগান দেয়।
ক্রিসি নিজেও মেইনের বাসিন্দা, তাই এই অঞ্চলের সংস্কৃতি এবং লবস্টারের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
এই জাদুঘরে লবস্টার বিষয়ক বিভিন্ন স্মৃতি, রেসিপি এবং মজাদার তথ্য শেয়ার করারও সুযোগ রয়েছে।
জাদুঘরের টিকিট মূল্য এক দিনের জন্য ১০ মার্কিন ডলার এবং তিন দিনের জন্য ২০ মার্কিন ডলার।
এছাড়াও, “Museums for All” প্রোগ্রামের সঙ্গে তাদের অংশীদারিত্ব রয়েছে, যার মাধ্যমে ফেডারেল খাদ্য সহায়তা গ্রহণকারীরা বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যে জাদুঘরে প্রবেশ করতে পারবে।
ক্রিসি মনে করেন, এই উদ্যোগটি “সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পথেAccess-এর” ধারণাটিকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে এবং মানুষের মধ্যে আনন্দ ও কৌতূহল সৃষ্টি করবে।
যদি আপনিও লবস্টার এবং মেইনের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন, তাহলে এই ভার্চুয়াল জাদুঘরটি আপনার জন্য একটি দারুণ সুযোগ।
তথ্য সূত্র: CNN