ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে এলো স্বেচ্ছাসেবক দল, ঘুর্ণিঝড়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে!

উত্তর আমেরিকার একটি অঙ্গরাজ্য, নর্থ ক্যারোলাইনার একটি জনপদ, ঘূর্ণিঝড় হেলেনের আঘাতে বিপর্যস্ত হওয়ার মাসখানেক পর, ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সেপ্টেম্বরে আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সেখানকার ঘরবাড়ি এবং স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

আর্টিকেল অনুযায়ী, গত বছর আঘাত হানা এই ঘূর্ণিঝড়ের পর, প্রায় ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, যারা মূলত ‘দ্য হোম ডিপো ফাউন্ডেশন’ এবং অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সদস্য, সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও একটি কমিউনিটি সেন্টার পুনর্গঠনের কাজে হাত লাগিয়েছেন। এই কেন্দ্রটি ‘অ্যাশভিলি বানকোম্ব কমিউনিটি খ্রিস্টান মিনিস্ট্রি’ (ABCCM) নামে পরিচিত, যা দরিদ্র, ক্ষুধার্ত ও গৃহহীন মানুষদের জন্য সাহায্য করে থাকে। তারা স্বাস্থ্যসেবা সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও দিয়ে থাকে।

স্বেচ্ছাসেবকরা ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রটিতে নতুন করে রান্নাঘরের সরঞ্জাম স্থাপন করেছেন, অফিস ও থেরাপি কক্ষগুলো সংস্কার করেছেন এবং স্থানীয় এলাকার সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলার জন্য বিভিন্ন চিত্রকর্ম তৈরি করেছেন। এছাড়াও, প্রায় ১৫ থেকে ২০টি বাড়ির নির্মাণ কাজের জন্য তারা কাঠামোগত সহায়তা করেছেন। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাদের জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে এই উদ্যোগ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ঘূর্ণিঝড় হেলেন ছিল ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার একটি শক্তিশালী ঝড়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে আঘাত হানে এবং এতে দুইশর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর থেকে, ‘দ্য হোম ডিপো ফাউন্ডেশন’ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহ করে আসছে। তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সালে দুর্যোগ ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য তারা প্রায় ৮.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা সে সময়ের বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ৯৪ কোটি টাকার সমান) সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

দুর্যোগের শিকার হওয়া এই মানুষগুলোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। মেরিন কোরের একজন প্রাক্তন সদস্য জন রিচার্ড ট্যালবট জুনিয়র তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, স্বেচ্ছাসেবকদের এই সাহায্য তাদের জীবনে নতুন করে বাঁচার আশা জুগিয়েছে। একইভাবে, আরেকজন সেনা সদস্য মাইকেল ক্রিস্টোফার মারিয়া এই সহায়তাকে “অসাধারণ” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের সাহায্য তাদের জীবন পুনরুদ্ধারে সহায়ক হচ্ছে এবং এটি তারা কখনোই ভুলবে না।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করা অত্যন্ত জরুরি। এই ধরনের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতে আরও জোরদার করা প্রয়োজন, যাতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *