যুদ্ধ মানে ধ্বংস, মৃত্যু আর সীমাহীন কষ্ট – এই ধারণাকে নতুন করে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে আসছে চলচ্চিত্র ‘ওয়ারফেয়ার’।
ইরাক যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং সৈন্যদের আত্মত্যাগের গল্প নিয়ে নির্মিত এই সিনেমাটি তৈরি হয়েছে বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে।
ছবিতে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা কিট কনর, উইল পাউল্টার এবং মাইকেল গ্যান্ডোলফিনি সহ আরও অনেকে।
ছবিটির পরিচালক হলেন রে মেন্ডোজা, যিনি নিজেও একজন ইরাক যুদ্ধ ফেরত সেনা।
মেন্ডোজার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই সিনেমার চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে।
২০০৬ সালের নভেম্বরে রামাদি শহরে মার্কিন নৌসেনা এবং আল-কায়েদার মধ্যে হওয়া এক ভয়াবহ যুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়।
মেন্ডোজা এবং তাঁর সহযোদ্ধাদের সেই সময়ের দুঃসহ অভিজ্ঞতাই সিনেমার মূল ভিত্তি।
সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, কীভাবে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অ্যাপার্টমেন্টে আটকে পড়া মার্কিন সেনা এবং তাদের সঙ্গীদের জীবন বাঁচানোর জন্য চরম প্রতিকূলতার মধ্যে লড়াই করতে হয়।
আহত সঙ্গীদের চিকিৎসা করা থেকে শুরু করে অবিরাম গোলাগুলির মধ্যে টিকে থাকার চেষ্টা – সৈন্যদের এই কঠিন পরিস্থিতিই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সিনেমার দৃশ্যে।
এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অভিনেতাদের একটি বুট ক্যাম্পে অংশ নিতে হয়েছিল, যেখানে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ ও মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
সিনেমার চরিত্রগুলোর বাস্তব রূপ দেওয়ার জন্য অভিনেতারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
শোনা যায়, সিনেমার শুটিং শেষ হওয়ার পরে তারা সবাই একটি বিশেষ ধরনের ট্যাটুও করিয়েছিলেন, যা তাদের মধ্যেকার বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
সিনেমায় যুদ্ধের ভয়াবহতা ছাড়াও বন্ধুত্ব, ভালোবাসা এবং আত্মত্যাগের মতো বিষয়গুলোও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।
পরিচালক রে মেন্ডোজা জানিয়েছেন, এই সিনেমাটি তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক রূপ তুলে ধরা এবং একইসঙ্গে সৈন্যদের প্রতি সম্মান জানানো।
সিনেমাটি শুধু যুদ্ধের একটি চিত্র নয়, বরং এটি যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে শুরু করে সৈন্যদের মানসিক অবস্থা এবং তাদের মধ্যেকার সম্পর্কের গভীরতা – সবকিছুকেই দর্শকদের সামনে তুলে ধরবে।
সিনেমাটি দর্শকদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলবে এবং যুদ্ধের প্রকৃত অর্থ সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সিনেমাটি বর্তমানে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে এবং খুব শীঘ্রই এটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian