বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মিডিয়া ও বিনোদন সংস্থা, ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি (WBD), খুব শীঘ্রই দুটি আলাদা ব্যবসায়ে বিভক্ত হতে চলেছে। এই মর্মে ঘোষণা করা হয়েছে, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই বিভাজন কার্যকর করা হবে।
মূলত, মিডিয়া জগতের দ্রুত পরিবর্তনশীল চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবং বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটি দুটি প্রধান ভাগে বিভক্ত হবে।
প্রথমটির নাম হবে “স্ট্রিমিং ও স্টুডিও”, যার নেতৃত্বে থাকবেন বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) ডেভিড জাস্লাভ।
এই বিভাগের অধীনে থাকবে জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম HBO Max এবং ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিও।
দ্বিতীয় অংশটির নাম হবে “গ্লোবাল নেটওয়ার্কস”, যার দায়িত্বে থাকবেন প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (CFO) গানার উইডেনফেলস।
এই বিভাগে থাকবে সিএনএন (CNN) সহ অন্যান্য টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো।
ওয়াইডবিডি কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, এই বিভাজন প্রতিটি কোম্পানিকে কৌশলগতভাবে আরও শক্তিশালী করবে এবং তাদের নিজস্ব লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে।
কেবল তাই নয়, এর ফলে তারা বাজারের সঙ্গে আরও ভালোভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে।
মূলত, ক্যাবল টেলিভিশনের ব্যবসা যখন স্ট্রিমিং-এর যুগে প্রবেশ করছে, তখন এই পদক্ষেপ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য HBO Max-এর মতো ক্রমবর্ধমান ব্যবসায় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে।
এই ঘোষণার পর, যদিও শুরুতে WBD-এর শেয়ারের দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছিল, দিনের শেষে তা প্রায় ৩ শতাংশ কমে যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, উচ্চ ঋণের বোঝা এবং ঐতিহ্যবাহী টেলিভিশন ব্যবসার আয় হ্রাসের কারণে সম্প্রতি S&P গ্লোবাল রেটিং কোম্পানি WBD-এর শেয়ারকে ‘জাঙ্ক’ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এই বিভাজনের ফলে, সংস্থার প্রায় সকল ঋণ “গ্লোবাল নেটওয়ার্কস” -এর অধীনে চলে যাবে, যদিও স্ট্রিমিং বিভাগেও কিছু ঋণ থাকবে।
বর্তমানে, WBD-এর উল্লেখযোগ্য কিছু স্ট্রিমিং সম্পদ রয়েছে, যেমন ডিসকভারি+ এবং ব্লিচার রিপোর্ট।
এছাড়া, সিএনএনও একটি নতুন স্ট্রিমিং পরিষেবা তৈরির কাজ করছে, যা খুব শীঘ্রই চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, সিএনএন-এর প্রতিষ্ঠাতা টেড টার্নার এই পরিবর্তনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, তিনি সিএনএন-এর উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করেন।
সিএনএন-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে তিনি শুভকামনা জানিয়েছেন এবং কর্মীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন