ওয়ে ওয়ার লায়ার্স: বই নাকি সিরিজ? কোথায় মিল, কোথায় অমিল? জানুন!

প্রাইম ভিডিও-তে মুক্তি পাওয়া ‘উই ওয়ার লায়ার্স’ : বইয়ের থেকে কতটা আলাদা?

ই. লকহার্টের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘উই ওয়ার লায়ার্স’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে একটি মনোমুগ্ধকর ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকে ধনী সিনক্লেয়ার পরিবারের গোপন রহস্যগুলো উন্মোচন করা হয়েছে, যা দর্শক ও পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গল্পটি মূলত একটি গ্রীষ্মকালে সিনক্লেয়ার পরিবারের সদস্যদের জীবনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে, যেখানে তারা তাদের ব্যক্তিগত সংকটগুলো মোকাবেলা করে।

তবে, বইয়ের থেকে ধারাবাহিকটি নির্মাণ করার সময় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

আসুন, জেনে নেওয়া যাক বই এবং ধারাবাহিকের মধ্যেকার প্রধান পার্থক্যগুলো কী কী:

  • ক্যাডিয়েন্সের চরিত্র : বইটিতে গ্রীষ্মের ভয়াবহ ঘটনার পর ক্যাডিয়েন্স বিচউড দ্বীপ থেকে দুই বছর দূরে ছিল। সে তার বাবার সাথে ইউরোপে গিয়েছিল। কিন্তু, ধারাবাহিকে দেখা যায়, দুর্ঘটনার এক বছর পরেই সে আবার দ্বীপে ফিরে আসে।
  • মিরেন ও জনির চরিত্র : বইটিতে মিরেন এবং জনির চরিত্রগুলোর গভীরতা সেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়নি। ধারাবাহিকে তাদের চরিত্রগুলোর আরও বিস্তারিত দিক তুলে ধরা হয়েছে। মিরেনকে একজন শিল্পী হিসেবে দেখানো হয়েছে, যে অন্যদের দ্বারা উপেক্ষিত বোধ করে। অন্যদিকে, জনির চরিত্রেও জটিলতা রয়েছে, যা উত্তরাধিকার এবং পারিবারিক দ্বন্দ্বের সাথে জড়িত। জনির চরিত্রটি ধারাবাহিকে উভকামী হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে, যা বইটিতে উল্লেখ করা হয়নি।
  • টিপারের মৃত্যু : বইটিতে টিপারের মৃত্যু বিচউড দ্বীপের বাইরে ঘটেছিল, ঘটনার আট মাস আগে। কিন্তু, ধারাবাহিকে দেখা যায়, তিনি গ্রীষ্মকালে বোনফায়ারের সময় মারা যান।
  • বেসের চরিত্র : বইটিতে বেস এবং ব্রডির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তাদের আরও একটি সন্তান ছিল, তবে ধারাবাহিকে সেটি দেখানো হয়নি। ধারাবাহিকে বেসকে ব্রডির সাথে অসুখী বিবাহিত জীবন কাটাতে দেখা যায়।
  • এডের চরিত্র : বইটিতে এডকে সেভাবে দেখা যায় না, তবে ধারাবাহিকে তার উপস্থিতি অনেক বেশি। গেটের কাকার চরিত্রে অভিনয় করা এড, হ্যারিসের কাছ থেকে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে এবং দ্বীপে ছোটখাটো কাজ করে সময় কাটায়।
  • সিনক্লেয়ার পরিবারের চতুর্থ বোন : বইটিতে সিনক্লেয়ার পরিবারের তিনজন বোনের কথা বলা হয়েছে, তবে ধারাবাহিকে চতুর্থ বোনের উল্লেখ রয়েছে, যিনি শৈশবে মারা যান।
  • আগুন লাগারহস্য : বইটিতে সিনক্লেয়ার পরিবারের সদস্যরা ক্লেরমন্টে আগুন লাগানোর কথা স্বীকার করে না। তবে, ধারাবাহিকে হ্যারিস ক্যাডিয়েন্সকে জানায় যে, কারা আগুন লাগিয়েছিল, এবং সেটিকে গোপন রাখতে চায়।

ধারাবাহিকটি নির্মাণের সময় লেখকের মূল গল্পটিকে ধরে রাখা হলেও, কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা গল্পটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। যারা বইটা পড়েছেন, তাদের জন্য ধারাবাহিকটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে, আবার যারা নতুন দর্শক, তাদের জন্যও এটি উপভোগ্য হবে।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *