বর-কনের ‘অবিবেচক’ সিদ্ধান্তে বন্ধু-বান্ধবদের বিয়েতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত।
একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তের ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, কনে ও বর তাঁদের বন্ধুদের কাছ থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য জনপ্রতি প্রায় ২২,০০০ টাকার (২৫০ মার্কিন ডলার) ফি দাবি করেন।
এরপরই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে রাজি হওয়া অতিথিরা তাঁদের সিদ্ধান্ত বদল করেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বন্ধুদের দেওয়া একটি “ওয়েডিং শাওয়ার” অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়াকে কেন্দ্র করে। সাধারণত বিয়ের আগে বন্ধুদের জন্য আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপহার দেওয়া হয়। তবে উপহারের পরিমাণ পর্যাপ্ত না হওয়ায় বর ও কনে অসন্তুষ্ট হন।
এর ফলস্বরূপ, তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি ধার্য করার সিদ্ধান্ত নেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনার সূত্রপাত
বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। সেখানে আলোচনা হয়, বন্ধুদের দেওয়া উপহারের পরিমাণ নিয়ে কনে ও বরের অসন্তুষ্টি এবং বিয়ের ফি ধার্য করার বিষয়টি কতটা যৌক্তিক ছিল।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ বর ও কনের এই আচরণকে ‘অবিবেচক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
তাঁদের মতে, বন্ধুদের কাছ থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য অর্থ আদায় করাটা অপ্রত্যাশিত।
উপহার বিতর্কের সূত্রপাত
জানা যায়, বন্ধু-বান্ধবরা মিলে বিয়ের আগে কনেকে একটি “ওয়েডিং শাওয়ার”-এর আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে তাঁরা কিছু উপহার দেন, যার মধ্যে ছিল ওয়াইন, ফুল, গয়না এবং অন্যান্য কিছু আকর্ষণীয় জিনিস।
প্রত্যেক বন্ধু প্রায় ১,৭০০ টাকার (২০ মার্কিন ডলার) মতো খরচ করেছিলেন। তবে কনে ও বর উপহারগুলো পছন্দ করেননি।
এরপর তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য জনপ্রতি ২২,০০০ টাকা ফি ধার্য করার সিদ্ধান্ত নেন।
বিয়েতে অংশগ্রহণের ফি নির্ধারণ
বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে এই ফি-এর কোনো উল্লেখ ছিল না। তবে সেখানে নগদ অর্থ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
বন্ধুদের একজন জানান, তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠানে নগদ অর্থ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯,০০০ টাকা (১০০ মার্কিন ডলার)। কিন্তু কনে ও বরের এমন সিদ্ধান্তে তাঁরা বেশ বিস্মিত হন।
বন্ধুদের প্রতিক্রিয়া
বন্ধুরা এই ফি দিতে রাজি হননি এবং এর প্রতিবাদ জানান। তাঁরা মনে করেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য এমন ফি ধার্য করাটা তাঁদের প্রতি এক ধরনের ‘অবমাননাকর’ আচরণ।
কারণ, তাঁরা কনে পক্ষের জন্য “ব্যাচেলরেট পার্টি” করারও পরিকল্পনা করেছিলেন এবং এর খরচ বহন করতেও রাজি ছিলেন।
এই ঘটনার পর কনে ও বর তাঁদের বন্ধুদের একটি গ্রুপ চ্যাট থেকে সরিয়ে দেন এবং তাঁদের ফোন নম্বরও ব্লক করে দেন।
এই ঘটনার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, আধুনিক যুগে বিয়ের অনুষ্ঠানে অতিথিদের কাছ থেকে ফি নেওয়ার এই প্রবণতা কতটা গ্রহণযোগ্য?
নেটিজেনদের একাংশ মনে করেন, বন্ধুদের কাছ থেকে এমন আচরণ করাটা অনাকাঙ্ক্ষিত। তারা বর ও কনের এই ধরনের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তথ্য সূত্র: ইন্টারনেট