বাড়িতে শান্তির ছোঁয়া: ওয়েলনেস রুম এখন ট্রেন্ডিং!

আজকাল মানুষের জীবনযাত্রায় বাড়ছে কর্মব্যস্ততা আর মানসিক চাপ। এই পরিস্থিতিতে, নিজেদের মানসিক শান্তির জন্য একটি বিশেষ স্থান তৈরি করার প্রবণতা বাড়ছে, যা ‘ওয়েলনেস রুম’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

এটি শুধু একটি ঘর নয়, বরং এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষ দিনের শেষে একটু বিশ্রাম নিতে পারে, নিজের যত্ন নিতে পারে এবং মানসিক শান্তি খুঁজে পায়।

এই ঘরগুলো এখন অনেক বাড়িতেই দেখা যাচ্ছে। কেউ এটিকে হোম জিম হিসেবে ব্যবহার করছেন, যেখানে ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে সতেজ রাখা যায়।

আবার কেউ ধ্যান বা মেডিটেশনের জন্য একটি শান্ত পরিবেশ তৈরি করছেন, যেখানে মনকে শান্ত করা যায়। কেউ কেউ তাদের সঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে এই ঘরটিকে একটি মিউজিক রুম হিসেবে তৈরি করছেন। এই ধরনের স্থানগুলো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ওয়েলনেস রুম তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে।

ঘরটিকে আরামদায়ক করতে প্রাকৃতিক উপাদান, যেমন – বাঁশ, কাঠ, বা হালকা রঙের কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, মৃদু আলো এবং আরামদায়ক আসবাবপত্র, যেমন – কুশন বা বড় আকারের বিন ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে।

শব্দ চিকিৎসার জন্য হালকা শব্দতরঙ্গ বা প্রকৃতির শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ডিজাইনার গঞ্জালো বুয়েনো-র মতে, সুস্থ জীবনযাপনের জন্য এই ধরনের স্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি জানান, এই ঘরগুলো ডিজাইন করার সময় ক্লায়েন্টদের রুচি ও চাহিদার প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখা হয়।

কেউ হয়তো একটি সঙ্গীত ঘর পছন্দ করেন, যেখানে তারা তাদের বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে পারেন, আবার কারও জন্য এটি একটি ব্যক্তিগত বিশ্রামাগার হতে পারে।

তবে, ওয়েলনেস রুম তৈরি করার জন্য আলাদা জায়গার অভাব হলে, ঘরের কোন একটি অংশকে এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।

যেমন, বারান্দা অথবা বাড়ির কোন একটি কোণে কিছু গাছ এবং আরামদায়ক একটি বসার ব্যবস্থা করে একটি ছোট ‘ওয়েলনেস কর্নার’ তৈরি করা যেতে পারে।

শুধু ব্যক্তিগত পরিসরেই নয়, সামাজিক স্থানগুলোতেও ওয়েলনেসের ধারণা প্রসারিত হচ্ছে।

বর্তমানে অনেক ‘সোশ্যাল স্পা’ তৈরি হচ্ছে, যেখানে মানুষ একত্রিত হয়ে বিশ্রাম নিতে পারে এবং বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে।

সেখানে স্পা-এর সুবিধা, যোগা ক্লাস এবং অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা থাকে।

সুতরাং, ব্যস্ত জীবনে মানসিক শান্তির জন্য একটি ওয়েলনেস রুম বা স্থান তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।

নিজের পছন্দ অনুযায়ী, ছোট বা বড় – যে কোন স্থানেই এই ধরনের একটি স্থান তৈরি করে, আপনি আপনার জীবনের মান উন্নত করতে পারেন।

তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *