শতবর্ষী পথ: ছবিতে ওয়েলসের উপত্যকার জীবন

ওয়েলসের উপত্যকার ছবি: কেন গ্রান্টের ক্যামেরায় প্রকৃতির নীরব সাক্ষী

ওয়েলসের উপত্যকা অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার এক অসাধারণ চিত্র ফুটে উঠেছে কেন গ্রান্টের ক্যামেরায়। ‘Cwm: A Fair Country’ নামের আলোকচিত্রের এই সংগ্রহটি যেন গত ত্রিশ বছরের এক নীরব সাক্ষী।

গ্রান্ট দীর্ঘদিন ধরে এখানকার ল্যান্ডস্কেপ ও স্থানীয় জনজীবনকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন, যা এখন একটি বই আকারে প্রকাশিত হয়েছে।

উপত্যকাগুলোর রুক্ষ প্রকৃতি, শিল্পের প্রভাব এবং সেখানকার মানুষের টিকে থাকার অদম্য ইচ্ছাই এই ছবির মূল বিষয়। ওয়েলসের সবুজ পাহাড় আর ঐতিহাসিক খনি অঞ্চলের ছবিগুলো যেন এক একটি জীবন্ত ক্যানভাস।

এখানে ঘুরে বেড়ানো বুনো ঘোড়াগুলো যেন প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সেখানকার মানুষের সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। গ্রান্টের ছবিগুলোতে প্রকৃতির মাঝে মানুষের বসবাস, পরিবর্তনশীল পরিবেশ এবং স্থানীয় সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল চিত্র পাওয়া যায়।

আলোকচিত্রী কেন গ্রান্টের ভাষায়, এই উপত্যকাগুলোতে প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে মানুষ যুগ যুগ ধরে হেঁটে চলেছে। এখানকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, খেলার মাঠ – সবকিছুই যেন সময়ের সাক্ষী।

এখানকার আবহাওয়া, বিশেষ করে বৃষ্টির কারণে এখানকার প্রকৃতি এক বিশেষ রূপ ধারণ করে, যা ছবিগুলোতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে।

কেন গ্রান্টের এই কাজের অনুপ্রেরণা জুজেফ সুদেক, ডব্লিউ ইউজিন স্মিথ, রবার্ট ফ্রাঙ্ক-এর মতো খ্যাতিমান আলোকচিত্রীরা। এছাড়াও, স্থানীয় শিল্পী এবং লেখকদের কাজ থেকেও তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন।

তাঁর ছবিতে মানুষের জীবন, সংস্কৃতি এবং প্রকৃতির এক গভীর সম্পর্ক ফুটে উঠেছে।

এই আলোকচিত্রগুলি শুধু একটি অঞ্চলের ছবি নয়, বরং মানুষের জীবন ও প্রকৃতির এক মেলবন্ধন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করলে, গ্রান্টের এই কাজ আমাদের গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও গভীরভাবে অনুভব করতে সাহায্য করে।

মানুষের টিকে থাকার গল্প, প্রকৃতির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক, আর পরিবর্তনের মাঝেও নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রাখার যে চেষ্টা, তা এই ছবির মূল আকর্ষণ।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *