প্রাক্তন জনপ্রিয় টক শো হোস্ট ওয়েন্ডি উইলিয়ামসের আইনি অভিভাবকত্ব নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। তার প্রাক্তন স্বামী কেভিন হান্টার একটি নতুন মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে উইলিয়ামসের অভিভাবক তার দুটি বিড়ালকে “বিক্রি” করেছেন। এই ঘটনার জেরে ওয়েন্ডি মানসিক কষ্টে ভুগছেন।
আদালতের নথি অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে ওয়েন্ডি উইলিয়ামস স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছেন। এরপর ২০২২ সালে আদালত তার আইনি অভিভাবক নিয়োগ করে, যা তার আর্থিক এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক বিষয়গুলো দেখাশোনা করে। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কের একটি বিশেষ পরিচর্যা কেন্দ্রে বসবাস করছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ওয়েন্ডির অভিভাবক সাবরিনা মরিসি তার দুটি বিড়াল, “চিট চ্যাট” এবং “মাই ওয়ে”-কে বিক্রি করে দিয়েছেন, যা ওয়েন্ডিকে তার “প্রয়োজনীয় সঙ্গ” থেকে বঞ্চিত করেছে। বিড়াল দুটিকে বিক্রি করার আগে তাদের দেখাশোনার খরচ দিতেও অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। এই ঘটনার ফলে ওয়েন্ডি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
মামলার শুনানিতে তিনি জানান, বিড়াল দুটি চলে যাওয়ায় তিনি খুবই মর্মাহত হয়েছেন।
মামলায় হান্টার আরও অভিযোগ করেছেন, ওয়েন্ডিকে তার অভিভাবকত্বের সময়কালে “অযাচিত নির্যাতন” এবং “আর্থিক অপব্যবহার”-এর শিকার হতে হয়েছে। এমনকি তার যথাযথ চিকিৎসা মূল্যায়নও করা হয়নি। তিনি দ্রুত এই অভিভাবকত্ব বাতিলের আবেদন করেছেন এবং ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫০ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬০০ কোটি টাকার বেশি) দাবি করেছেন।
মামলার আইনজীবী লাশন থমাস জানিয়েছেন, ওয়েন্ডি বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর প্রমাণ সম্পর্কে অবগত নন। তবে তিনি দ্রুত প্রমাণ উপস্থাপন করে তার অধিকার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন।
এই ঘটনার পর অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, এই মামলাটি বয়স্ক ব্যক্তিদের আইনি অধিকার এবং তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি করেছে।
তথ্যসূত্র: পিপল