শিরোনাম: স্পট-ফিক্সিং মামলা: গ্রীষ্ম পর্যন্ত অনিশ্চিত, ওয়েস্ট হ্যামের তারকা ফুটবলার পাকেতা
ফুটবল বিশ্বে আবারও আলোচনার ঝড়। ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডের তারকা ফুটবলার লুকাস পাকেতাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে স্পট-ফিক্সিংয়ের গুরুতর অভিযোগ, যার শুনানি আগামী গ্রীষ্ম পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর ফুটবল ভবিষ্যৎ এখন গভীর উদ্বেগের মধ্যে।
ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) পাকেতার বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে হলুদ কার্ড দেখিয়ে বা অন্য কোনোভাবে ম্যাচের ফল প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন, যার মাধ্যমে বেটিং মার্কেটে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করা হয়েছে। ফুটবল বিশ্বে স্পট-ফিক্সিংয়ের ঘটনা নতুন নয়। খেলোয়াড়রা সাধারণত এমন কিছু কাজ করে থাকেন যা খেলার ফলাফলের ওপর প্রভাব ফেলে এবং এর মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে অবৈধভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়।
এই অভিযোগের শুনানির জন্য গত ১৭ই মার্চ থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কিন্তু জটিলতার কারণে তা শেষ করা যায়নি। শুনানির সময় আইনজীবীদের ব্যস্ততার কারণে এটি এখন গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। ফলে, পাকেতাকে এখন আরও দীর্ঘ সময় ধরে এই মামলার নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এই ঘটনার জেরে পাকেতার ক্যারিয়ারে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। দোষী সাব্যস্ত হলে, তিনি ফুটবল থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে, ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেড পাকেতার পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্লাবটি এফএ-এর এই পদক্ষেপের সমালোচনাও করেছে।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই ফুটবল মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। ম্যানচেস্টার সিটিও পাকেতাকে দলে ভেড়ানোর জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু এই বিতর্কের কারণে তারা সেই প্রস্তাব থেকে সরে আসে। জানা গেছে, ম্যানচেস্টার সিটি পাকেতাকে প্রায় ৮০ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনতে চেয়েছিল। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, পাকেতা শুরু থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এফএ-এর তদন্তে তিনি শুরু থেকেই সহযোগিতা করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি নিজের সম্মান পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এই মামলার কারণে ওয়েস্ট হ্যামের দলবদলের বাজারেও প্রভাব পড়তে পারে। এখন সবার দৃষ্টি শুনানির ফলাফলের দিকে। ফুটবলপ্রেমীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, কী হতে চলেছে এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান