হোয়াইট লোটাসের গ্যাংস্টার চরিত্রে আসল রহস্য ফাঁস!

আলোচিত টিভি সিরিজ ‘হোয়াইট লোটাস’-এর তৃতীয় সিজনে অভিনেতা জন গ্রিসের কুশীলব গ্রেগ/গ্যারি চরিত্রটি দর্শকদের মধ্যে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতি হিসেবে বাস্তব জীবনের কিছু কুখ্যাত অপরাধীর কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছিলেন গ্রিস।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলার পেছনের গল্প তুলে ধরেন।

শুরুতে, গ্রিস চরিত্রটিকে একজন দুর্বল, হতাশ মানুষের মতো করে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন। প্রথম সিজনে গ্রেগের অসুস্থতাও সে ইঙ্গিত বহন করে।

চরিত্রটি সম্পর্কে গ্রিস বলেন, “একজন অভিনেতা হিসেবে আমি সব সময়ই চরিত্রের ভেতরের মানবিক দিকটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করি। জানতে চাই, কোন ঘটনা বা পরিস্থিতি একজন মানুষকে এমন করে তোলে।”

তবে, নির্মাতারা যখন দ্বিতীয় সিজনে চরিত্রটির আরও গভীরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তখন গ্রিসকে তাঁর ভাবনা পরিবর্তনে বাধ্য করা হয়। নির্মাতা মাইক হোয়াইট জানান, গ্রেগ চরিত্রটি আদতে বেশ ‘ভয়ঙ্কর’। এই মন্তব্যের পরেই গ্রিস চরিত্রটিকে নতুনভাবে সাজাতে শুরু করেন।

তৃতীয় সিজনের জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে গ্রিস বাস্তব জীবনের কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পান। এর মধ্যে ছিল এইচবিও-র তথ্যচিত্র ‘দ্য জিনক্স’, যেখানে কুখ্যাত খুনি রবার্ট ডারস্টের জীবন তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়া, ‘দ্য টিন্ডার সুইন্ডলার’ নামক প্রতারকের ঘটনাও তাঁকে চরিত্রটি নির্মাণে সাহায্য করেছে।

গ্রিস বলেন, রবার্ট ডারস্টের ‘স্বাভাবিক’ আচরণ তাঁকে বেশ প্রভাবিত করেছে। গ্রেগ চরিত্রেও তেমন একজন মানুষের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে, যে সহজে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে না, সহজে রেগে যায় না, কিন্তু ভেতরে ভেতরে বিপজ্জনক।

চরিত্রটি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে গ্রিসের মনে প্রশ্ন জেগেছিল, গ্রেগের মধ্যে কি ভালো কিছু খুঁজে পাওয়া সম্ভব? পরে, নির্মাতা মাইক হোয়াইটের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি জানতে পারেন, গ্রেগ একজন ‘সাইকোপ্যাথ’। এরপরই চরিত্রটিকে নতুনভাবে সাজানোর কাজ শুরু হয়।

টিভি সিরিজটি বর্তমানে দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিশেষ করে, এখনকার দর্শকদের মধ্যে প্রত্যেক সপ্তাহের পর্বের জন্য অপেক্ষার প্রবণতা দেখা যায়, যা আগে ছিল না।

গ্রিস মনে করেন, দর্শকদের এই অপেক্ষার মধ্যে একটা সৌন্দর্য আছে। তিনি বলেন, “যদি কেউ এক সাথে সব পর্ব দেখে ফেলে, তাহলে মনে হবে অনেক বেশি চকলেট খেয়ে ফেলেছি। তখন আর সেই স্বাদ থাকে না।

প্রতিটি পর্ব উপভোগ করার জন্য সময়ের প্রয়োজন।”

‘হোয়াইট লোটাস’ প্রতি রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এইচবিও চ্যানেলে এবং তাদের স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ম্যাক্সে প্রচারিত হয়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *