হোয়াইট লোটাস: বিলাসবহুল অবকাশ যাপন আর নতুন গন্তব্যের খোঁজে।
জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘হোয়াইট লোটাস’-এর চতুর্থ সিজনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে জোরেশোরে। সিনেমাপ্রেমীদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, কোথায় দেখা যাবে এই সিরিজের পরবর্তী গল্প?
নির্মাতারা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সম্ভাব্য লোকেশনগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন। শোনা যাচ্ছে, নতুন সিজনের জন্য হয়তো আফ্রিকা মহাদেশের কোনো লোকেশন বেছে নেওয়া হতে পারে। মরক্কোর একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট, কেনিয়ার সাফারি অথবা মিশরের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর কথা ভাবা হচ্ছে।
সিরিজটির পরিচালক মাইক হোয়াইট এর আগে বলেছিলেন, তিনি চান প্রত্যেকটি মহাদেশেই ‘হোয়াইট লোটাস’-এর গল্প হোক। সেই হিসেবে চতুর্থ সিজনের জন্য দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের কোনো মনোরম স্থানও আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। বুয়েনস আইরেস অথবা ফ্রান্সের রিভেরা-র মতো জনপ্রিয় স্থানগুলোতেও শুটিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সিরিজের লোকেশন নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফোর সিজনস হোটেলের সঙ্গে তাদের চুক্তি। জানা গেছে, ২০২১ সালে এই হোটেল চেইনের সঙ্গে প্রায় ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যেখানে তাদের রিসোর্টগুলোতে শুটিং করার কথা বলা হয়েছে।
মরক্কোর একটি ফোর সিজনস হোটেলও নাকি নির্মাতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। তাছাড়া, তানজানিয়ার সেরেনগেটি ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত একটি গ্ল্যাম্পিং সাইটও নাকি তাদের নজরে আছে।
তবে, গল্পের মোড় ঘোরাতে নির্মাতারা হয়তো সমুদ্রের ধার থেকে একটু দূরে, ঠান্ডা আবহাওয়ার কোনো লোকেশন বেছে নিতে পারেন।
সেক্ষেত্রে নরওয়ের নাম শোনা যাচ্ছে, যেখানে ‘সাকসেশন’ সিরিজের শুটিং হয়েছিল। যদিও সিরিজের প্রযোজক ডেভিড বার্নাড জানিয়েছেন, পরিচালক মাইক হোয়াইট ঠান্ডা আবহাওয়া তেমন একটা পছন্দ করেন না।
অভিনেতাদের মধ্যে কারা থাকছেন, সেই নিয়েও চলছে জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, আগের সিজনের জনপ্রিয় চরিত্রদের মধ্যে কেউ কেউ ফিরে আসতে পারেন।
এর মধ্যে নাতাশা রথওয়েল (বেলিন্ডা), জ্যাক ল্যাসি এবং অ্যালেক্সান্দ্রা দাদ্দারিও (শেন ও র্যাচেল), সিমোনা তাবাসকো (লুসিয়া) -এর মতো পরিচিত মুখগুলোও থাকতে পারে।
তবে, চতুর্থ সিজনের সঙ্গীত পরিচালনা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। সিরিজের সুরকার ক্রিস্টোবাল তাপিয়া দে ভীরের সঙ্গে নির্মাতার মনোমালিন্যের কারণে এবার হয়তো অন্য কেউ এই দায়িত্ব পালন করবেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে, ভক্তরা সম্ভবত ২০২৬ সালের শেষ দিকে নতুন সিজনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান