হোয়াইট লোটাস সিজন থ্রি: প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল না শেষ পর্ব?
বহু প্রতীক্ষিত, জনপ্রিয় সিরিজ ‘হোয়াইট লোটাস’-এর তৃতীয় সিজনের শেষ পর্ব নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। তবে অনেক দর্শকের মনেই যেন একটা অতৃপ্তি।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় এই সিজনের ফাইনাল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, যেখানে উঠে এসেছে কিছু দুর্বলতার দিক।
পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, সিরিজের আগের দুটি সিজনের তুলনায় এবারের সমাপ্তি কিছুটা ভিন্ন পথে হেঁটেছে। আগের সিজনগুলোতে অপ্রত্যাশিত মৃত্যুগুলো ছিল নিছক দুর্ঘটনা, কিন্তু এবার সরাসরি খুনের ঘটনা দেখা গেছে।
গল্পের মোড় ঘোরাতে গিয়ে কিছু ক্ষেত্রে যেন তাল কেটেছে। প্রধান চরিত্রগুলোর কিছু সিদ্ধান্ত ছিল অপ্রত্যাশিত এবং গল্পের ধারাবাহিকতাকে দুর্বল করে দিয়েছে।
পর্যালোচকরা মনে করেন, গল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সম্ভাবনা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা পূরণ হয়নি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র এবং তাদের গল্পগুলো শেষ পর্যন্ত পরিণতি পায়নি, যা দর্শকদের হতাশ করেছে।
উদাহরণস্বরূপ, “ব্লন্ড ব্লব” নামে পরিচিত একটি গল্পের কথা বলা হয়েছে, যেখানে তিনজন নারীর পারস্পরিক সম্পর্ক এবং তাদের ভেতরের দ্বন্দ্ব তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু এটির সমাপ্তি ছিল দুর্বল, যা দর্শকদের মনে তেমন কোনো ছাপ রাখতে পারেনি।
তবে, সমালোচকরা সিরিজের কিছু ইতিবাচক দিকও তুলে ধরেছেন। দৃশ্য এবং আবহ তৈরিতে নির্মাতাদের মুন্সিয়ানা ছিল প্রশংসার যোগ্য।
বিশেষ করে, শেষের দিকের কিছু দৃশ্যে সাসপেন্স তৈরি করতে তারা সফল হয়েছেন।
পর্যালোচনায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বেলিণ্ডা নামের একটি চরিত্রের কথা। প্রথম সিজনে বেলিণ্ডা ছিলেন একজন হোটেল কর্মী, যিনি ট্যানিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিলেন।
পরবর্তী সময়ে, তিনি একটি ব্যবসায়িক সুযোগ পান এবং ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। বেলিণ্ডার চরিত্রটি ভবিষ্যতে সিরিজের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
সমালোচকরা মনে করেন, বেলিণ্ডার চরিত্রটি যদি চতুর্থ সিজনে ফিরে আসে, তবে তা দর্শকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিষয় হতে পারে।
যদিও তৃতীয় সিজনের সমাপ্তি অনেকের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, তবে নির্মাতারা ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু নিয়ে আসবেন, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। ‘হোয়াইট লোটাস’ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, বিশেষ করে এর ধনী পর্যটকদের ব্যঙ্গাত্মক উপস্থাপনা এবং আকর্ষণীয় রহস্যের কারণে।
দেখা যাক, ভবিষ্যৎ সিজনগুলোতে নির্মাতারা দর্শকদের কতটা আনন্দ দিতে পারেন।
তথ্যসূত্র: The Guardian