ভ্যাটিকান সিটি থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কার্ডিনালরা নতুন পোপ নির্বাচনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। সিস্টিন চ্যাপেল থেকে সাদা ধোঁয়া ওঠার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়, যা ক্যাথলিক চার্চের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
জানা গেছে, নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি দুই দিন ধরে চলেছে, যা আগের পোপ নির্বাচনের সময়কালের কাছাকাছি। খুব শীঘ্রই নতুন পোপের নাম ঘোষণা করা হবে এবং তিনি তাঁর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হিসেবে পোপের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি শুধু ধর্মীয় গুরুই নন, বরং বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও তাঁর প্রভাব রয়েছে। নতুন পোপের ওপর এখন অনেক দায়িত্ব, কারণ তাঁকে এমন এক সময়ে নেতৃত্ব দিতে হবে যখন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংকট চলছে।
নতুন পোপের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগগুলো সঠিকভাবে মোকাবেলা করা। এই বিষয়ে আগের পোপের সময়ে কিছু দুর্বলতা ছিল, যা নতুন পোপকে সমাধান করতে হবে।
এছাড়া, বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিভিন্ন দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতগুলোও তাঁর জন্য উদ্বেগের কারণ হবে।
বর্তমান পোপ ফ্রান্সিস, তাঁর সময়ে দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন। তাঁর এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি চার্চের ভাবমূর্তিকে নতুন রূপে উপস্থাপন করেছে। এখন দেখার বিষয়, নতুন পোপ সেই ধারা অব্যাহত রাখেন কিনা, নাকি চার্চের পুরনো নীতিতে ফিরে যান।
নতুন পোপ নির্বাচনের খবরটি সারা বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের জন্য আনন্দের। তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠানের জন্য সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী, ফরাসি কার্ডিনাল ডমিনিক মামবার্তি ল্যাটিন ভাষায় “Habemus Papam!” ঘোষণা করবেন, যার অর্থ “আমরা পোপ পেয়েছি!”
এরপর নতুন পোপ তাঁর নাম ঘোষণা করবেন এবং সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন।
নতুন পোপের আনুষ্ঠানিক অভিষেক সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হবে। এই অনুষ্ঠানগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষের সমাগম ঘটবে।
২০২৩ সালটি চার্চের জন্য একটি বিশেষ বছর, কারণ পোপ দ্বিতীয় জন পল ২৫ বছর আগে এই বছরটিকে উদযাপন করার ঘোষণা করেছিলেন। সুতরাং, নতুন পোপের জন্য এই বছরটি একদিকে যেমন দায়িত্বপূর্ণ, তেমনই উৎসবের আমেজ নিয়ে এসেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন