উইকেডের অভিনেত্রী: কেন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের একটি কথায় হতবাক হয়েছিলেন?

শিরোনাম: বিমানবন্দরে এক অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতার সাক্ষী ‘উইকেড’ অভিনেত্রী মারিসা বোড

অভিনেত্রী মারিসা বোড, যিনি ‘উইকেড’ নাটকে অভিনয়ের জন্য পরিচিত, সম্প্রতি বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ঘটনাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ একজন হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীর প্রতি সাধারণত বিমানবন্দরে কর্মীদের আচরণ কেমন থাকে, সেই বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন বোড, যিনি নিজেও হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন, বিমানে উঠার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সাধারণত দেখা যায়, বিমানবন্দরের কর্মীরা তার সাথে সরাসরি কথা না বলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে, যা তাকে ‘অদৃশ্য’ করে তোলে।

কিন্তু এবার পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন।

বোডের ভাষ্যমতে, সাধারণত এ ধরনের পরিস্থিতিতে কর্মীরা তার কাছে জানতে চায় না যে কীভাবে তাকে সাহায্য করা যায়। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু এই ঘটনার দিন, একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট কর্মীদের সরাসরি বোডের কাছে জানতে বলেন, “আপনি কীভাবে সাহায্য চান? আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো এবং আরামদায়ক উপায় কোনটি?”

বোডের মতে, এমন আচরণ খুবই বিরল, এবং এটাই তাকে আবেগাপ্লুত করে তুলেছিল।

বোড তার টিকটক ভিডিওতে উল্লেখ করেন, “যখন বিমানবন্দরের একজন কর্মী প্রথমবারের মতো আমার স্বায়ত্তশাসনকে স্বীকৃতি দেয়, তখন আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম। যদিও এমন আচরণই স্বাভাবিক, তবে বাস্তবে তা খুব কমই দেখা যায়।”

বিমানবন্দরে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারীদের প্রতি কর্মীদের এমন আচরণ নতুন কিছু নয়। অনেক সময় তাদের সঙ্গে সম্মানজনক ব্যবহার করা হয় না বলে অভিযোগ ওঠে।

এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষেরও কিছু পদক্ষেপ চোখে পড়ে।

যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন বিভাগ (U.S. Department of Transportation) এর আগে আমেরিকান এয়ারলাইন্সকে (American Airlines) প্রতিবন্ধী যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের জন্য প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৫০০ কোটির বেশি।

প্রাক্তন পরিবহন সচিব পিট বুটিগিগ এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, “প্রতিবন্ধী বিমান যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের দিন শেষ হয়েছে। আমরা এমন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছি, যা এয়ারলাইন্সগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনবে।”

এই ঘটনাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে।

প্রত্যেক মানুষের সম্মান ও অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *