সফরে গিয়ে স্ত্রীর ফোন না ধরায় হতাশ লেখক, আসল কারণ কি?

ব্রিটিশ সঙ্গীতশিল্পী ও তাঁর স্ত্রীর মনোমালিন্য: এক ব্যান্ডের সফরনামা

এই সময়ের ব্যস্ত জীবনে কর্মজীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন একটি অতি পরিচিত চিত্র। সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের একজন সঙ্গীতশিল্পী, যিনি তাঁর ব্যান্ড দলের সাথে একটি সফরে গিয়েছিলেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে ঘটে যাওয়া এমনই এক ঘটনার সাক্ষী।

সফরকালে স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্যের জেরে ব্যাহত হয় তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

এডিনবরা থেকে শুরু করে এক ঝাঁক কনসার্ট শেষে দলটি যখন এক্সিটারে পৌঁছায়, ততক্ষণে শিল্পীর মন জুড়ে শুধু একরাশ দুশ্চিন্তা। কারণ, সফরের শুরুতেই ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।

আসলে, সফর শুরুর প্রাক্কালে গাড়ি নেওয়া নিয়ে তাঁর স্ত্রীর সাথে বচসা হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, স্ত্রী তাঁর ফোন ধরা বন্ধ করে দেন।

সফরের প্রথম রাতে হোটেলে ফিরে ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের সাথে বসে তিনি যখন পারফর্মেন্সের মূল্যায়ন করছিলেন, তখনো তাঁর মন জুড়ে ছিল স্ত্রীর নীরবতা। একবার তিনি তাঁর ড্রামার বন্ধুকে ফোন করে জানতে চান, “তোমরা এখন শহর থেকে কত দূরে?”

উত্তরে তিনি শোনেন, “আমি তো বাড়ি চলে গেছি।” এই কথা শুনে শিল্পী বেশ অবাক হয়েছিলেন। কারণ, তিনি ভেবেছিলেন হয়তো দলের সবাই একসঙ্গে আছেন।

পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর ড্রামার পারিবারিক কারণে সফর ছেড়ে গিয়েছেন।

পরের দিনগুলোতেও একই ঘটনা চলতে থাকে। তিনি স্ত্রীকে ফোন করেন, কিন্তু কোনো উত্তর পান না। বরং, তাঁর মনে হতে থাকে, এই নীরবতা যেন এক কঠিন শাস্তি।

তাঁর পারফর্মেন্সেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত, সফরের একেবারে শেষে, যখন তিনি বাড়ি ফেরেন, তখনো তাঁর স্ত্রী তাঁর উপর ভীষণভাবে বিরক্ত ছিলেন।

অবশেষে, শিল্পী জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীর এই নীরবতার কারণ আসলে ছিল একটি সাধারণ বিষয় – গাড়ি ব্যবহারের ভুল বোঝাবুঝি।

এই ঘটনার মাধ্যমে লেখক আমাদের জীবনের এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি করেন। যেখানে কর্মজীবনের চাপ, সম্পর্কের জটিলতা এবং সামান্য ভুলের কারণে তৈরি হওয়া মানসিক অস্থিরতা একাকার হয়ে যায়।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *