বিয়ে-শাদীর পর দাম্পত্য জীবনে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। উপহার বা মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মতের অমিল দেখা যায়, যা সম্পর্কের গভীরতা কমিয়ে দিতে পারে।
সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে স্ত্রীর অমতে তার একটি মূল্যবান উপহার অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ায় তৈরি হয়েছে জটিলতা।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন এক নারী একটি অনলাইন ফোরামে তার অভিযোগ জানান। তিনি জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি প্রায় ৮,০০০ টাকার একটি ওয়াইন-এর বোতল জিতেছিলেন।
যেহেতু তিনি অন্তঃসত্ত্বা, তাই তার পক্ষে সেটি পান করা সম্ভব ছিল না। তাই তিনি তার বোনের জন্মদিনে সেটি উপহার দেওয়ার কথা ভেবে রেখেছিলেন।
কিন্তু এরই মধ্যে তার স্বামী সেই ওয়াইনের বোতলটি তার নিজের বোনকে দিয়ে দেন। বিষয়টি জানার পর ওই নারী বেশ হতাশ হন।
তিনি জানান, তার স্বামী কোনো আলোচনা ছাড়াই, এমনকি তার মত না নিয়েই এই কাজ করেছেন। যখন তিনি স্বামীকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন, তখন তিনি নাকি স্ত্রীর ‘গর্ভকালীন হরমোন’-এর দোষ দেন এবং বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাননি।
ঘটনাটি নিয়ে ওই নারী যখন একটি অনলাইন ফোরামে আলোচনা শুরু করেন, তখন সেখানে উপস্থিত প্রায় ১,৭০০ জন সদস্যের মধ্যে ৯৭ শতাংশই স্ত্রীর প্রতি সমর্থন জানান। তারা মনে করেন, স্বামীর এমন কাজ মোটেই ঠিক হয়নি।
অনেক সদস্য মন্তব্য করেন, স্বামীর উচিত ছিল স্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে দ্রুত ওই একই দামের আরেকটি ওয়াইন কিনে দেওয়া। কারো কারো মতে, স্ত্রীর অনুভূতির প্রতি সম্মান না জানিয়ে হরমোনের দোষ দেওয়াটা আরও বেশি দুঃখজনক।
এই ঘটনার মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সম্মানের গুরুত্ব আরও একবার প্রমাণিত হয়। সামান্য একটি উপহার নিয়ে তৈরি হওয়া এই সমস্যা বুঝিয়ে দেয়, সম্পর্কের ভিত্তি মজবুত রাখতে হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খোলামেলা আলোচনা এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকা অপরিহার্য।
তথ্য সূত্র: পিপল