স্বামীকে বান্ধবীর বিয়েতে একা পাঠাতে রাজি নন স্ত্রী! অতঃপর…

একটি বিবাহিত মহিলার স্বামীর বিদেশে এক বন্ধুর বিয়েতে একা যাওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া অস্বস্তি বর্তমানে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধের গুরুত্বের প্রেক্ষাপটে এই ঘটনাটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

মূল ঘটনা হলো, এক নারী তার স্বামীর এক দীর্ঘদিনের বান্ধবী, যিনি আগে স্বামীর সাথে কিছুদিনের জন্য সম্পর্কে ছিলেন, তার বিয়েতে স্বামীর একাকী যাওয়াটা ভালোভাবে নিতে পারছেন না। স্বামীর বান্ধবী বিদেশে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন, তবে স্ত্রীর পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, কারণ তিনি কাজ এবং আর্থিক কারণে যেতে পারছেন না।

বিষয়টি নিয়ে তিনি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তার উদ্বেগের কথা জানান। সাধারণত, যেখানে মায়েদের মতো অভিভাবকেরা তাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত বিনিময় করেন। সেখানে তার এই দ্বিধা নিয়ে প্রশ্ন করার পরে অনেকেই তাকে স্বামীর উপর ভরসা রাখতে এবং স্বামীকে যেতে দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মতে, যেহেতু মেয়েটি অন্য কারো সাথে বিবাহিত জীবন শুরু করতে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে স্বামীর একাকী যাওয়া নিয়ে এত দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। বরং, এতে সম্পর্কের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি ও মানসিক দূরত্ব সৃষ্টি হতে পারে।

ওই নারীর ভাষ্যমতে, তিনি স্বামীকে ভালোবাসেন এবং বিশ্বাস করেন, তবে অতীতে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল বলে, স্বামীর একাকী যাওয়াটা তাকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলছে। তিনি আরও জানান, স্বামীর বান্ধবীর সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব ঘনিষ্ঠ না হলেও, তাদের মধ্যে এক ধরনের “আবেগপূর্ণ নৈকট্য” তিনি লক্ষ্য করেছেন, যা তাকে কিছুটা দ্বিধান্বিত করে তুলেছে। মূলত, অতীতের স্মৃতি, দূরত্বের কারণে স্বামীর একাকী যাত্রা এবং নিজে যেতে না পারার কারণেই এই অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাম্পত্য জীবনে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখাটা খুবই জরুরি। সন্দেহপ্রবণতা সম্পর্কের ভিত দুর্বল করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং তার ভালো-মন্দ উভয় দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *