একটি স্ত্রীর তার স্বামীর স্বাস্থ্য বিষয়ক আচরণ নিয়ে অসন্তুষ্টি এবং এর ফলস্বরূপ দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েনের একটি ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জানা গেছে, নিজের ওজন কমানোর চেষ্টা করা এক নারী তার স্বামীর স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় অনীহা এবং অতিরিক্ত ওজনের কারণে তাঁর প্রতি আকর্ষণ হারাচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে ওই নারী একটি অনলাইন ফোরামে তাঁর অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ওজন কমানোর জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু তাঁর স্বামী এখনো ফাস্ট ফুড ও মিষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা বন্ধ করেননি। এতে তিনি হতাশ এবং একাকিত্ব অনুভব করছেন।
ওই নারীর মতে, তাঁর স্বামীর এই ধরনের আচরণ তাঁকে হতাশ করে এবং শারীরিক সম্পর্ক বিষয়ক অনুভূতিতেও পরিবর্তন আনছে।
ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী যখন অতিরিক্ত ওজনের কারণে বিশ্রাম নেওয়ার সময় শরীরে ভাঁজ পড়া অবস্থায় বসে থাকেন, তখন তাঁর মধ্যে এক ধরনের বিরক্তি জন্মায়। তাঁর মনে হয়, যেন তাঁর স্বামী ইচ্ছে করেই এই বিষয়টি নিয়ে উদাসীন থাকছেন।
এই পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর স্বামীর কাছ থেকে সমর্থন আশা করেন।
এই ঘটনার পর, অনলাইন ফোরামের ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকে স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতি দেখালেও, অনেকেই তাঁর মানসিকতাকে সমর্থন করতে পারেননি।
তাঁদের মতে, কাউকে ওজন কমাতে বাধ্য করা যায় না। এই বিষয়ে নিজের ইচ্ছাশক্তি এবং মানসিক প্রস্তুতিও জরুরি।
আলোচনার এক পর্যায়ে ওই নারী জানান, তাঁরা দুজনেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁদের ওজন কমানো প্রয়োজন। তিনি স্বীকার করেন, হয়তো তিনি একটু কঠোর মন্তব্য করেছেন।
তবে তাঁর প্রত্যাশা ছিল, তাঁর স্বামীও এই যাত্রায় তাঁর সঙ্গে যোগ দেবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক জীবনযাত্রায় সঙ্গীর সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুস্থ জীবন ধারণের জন্য দম্পতিদের একসঙ্গে চেষ্টা করা উচিত।
একইসঙ্গে, পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সহানুভূতি দাম্পত্য সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল