রাতের বেলা স্বামীর ফোনে কার বার্তা? স্ত্রীর মনে গভীর উদ্বেগ!

একজন স্বামীর কর্মক্ষেত্রের এক নারী সহকর্মীর গভীর রাতে পাঠানো একটি বার্তা নিয়ে এক স্ত্রীর উদ্বেগের ঘটনা বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকে তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন ফোরামে (Mumsnet) এক নারী তার স্বামীর কর্মীর পাঠানো একটি বার্তার বিষয়ে নিজের দ্বিধা প্রকাশ করেন। ওই বার্তায় স্বামীর কাজের প্রশংসা করা হয়েছিল এবং তাকে একজন ভালো বন্ধু হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

ওই নারী জানান, গভীর রাতে স্বামীর ফোনে একটি বার্তা আসে। তিনি জানতে চান, এত রাতে কার মেসেজ? স্বামী প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেও পরে জানান, তার এক কলিগ এই মেসেজটি পাঠিয়েছে।

ওই বার্তায় লেখা ছিল, “তুমি একজন অসাধারণ বন্ধু। তোমাকে পেয়ে আমি খুব খুশি, আমার দিনটা সুন্দর হয়ে যায়। টিমের হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে।” স্ত্রী জানান, তিনি জানতেন তারা ভালো বন্ধু, তবে এত রাতে এমন বার্তা আসায় তিনি কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। স্বামীর ভাষ্যমতে, এটি নিছক বন্ধুত্বপূর্ণ একটি বার্তা ছিল। তবে স্ত্রীর মনে হয়, তিনি যদি জেগে না থাকতেন, তাহলে হয়তো বিষয়টি তার অগোচরেই থেকে যেত।

ওই নারী তার অনুভূতির সত্যতা যাচাই করতে অন্যদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করেন, “আমার কি এটা অন্যায় মনে হচ্ছে যে, ওই নারী এমন বার্তা পাঠিয়েছে এবং আমার স্বামীর এতে কোনো সমস্যা নেই? নাকি আমি ঈর্ষান্বিত হয়ে ভুল করছি?”

ফোরামের অনেক সদস্যই স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। ১২০০ জনের বেশি ভোটারের মধ্যে ৮৮ শতাংশই বলেছেন, স্ত্রীর এই ধরনের অনুভূতি হওয়াটা স্বাভাবিক।

একজন মন্তব্য করেছেন, “কেন এত রাতে তিনি তার স্বামীর কথা ভাবছিলেন? এটা তো একটু অদ্ভুত।” আরেকজন লিখেছেন, “মনে হচ্ছে, তিনি ফাঁদ পেতেছেন। মাছ ধরার জন্য টোপ ফেলেছেন এবং তার স্বামী নামক মাছটির জন্য অপেক্ষা করছেন।”

কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক এবং গভীর রাতে বার্তা আদান-প্রদান নিয়ে বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও বিতর্ক হতে পারে। অনেক সময়, সামান্য বিষয়ও ভুল বোঝাবুঝির জন্ম দিতে পারে, যা দাম্পত্য জীবনে উদ্বেগের কারণ হয়।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *