যুক্তরাষ্ট্রে লুকানো রত্ন! এই শহরে ভ্রমণের সেরা ঠিকানা!

ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা যেকোনো দেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুরাতনকে আগলে রেখেই একটি জাতি তার ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যায়।

সম্প্রতি, আমেরিকার একটি শহর, উইলিয়ামসবার্গ, এই ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভ্রমণ বিষয়ক সংস্থা ‘ওয়ান্ডার’ এর সমীক্ষায় এই শহরটিকে আমেরিকার সবচেয়ে কম পরিচিত ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গুগল, নাম্বিও, ট্রিপএডভাইজার এবং ইন্সটাগ্রামের মতো ডেটা বিশ্লেষণ করে ‘ওয়ান্ডার’ এই তালিকা তৈরি করেছে। তাদের সমীক্ষায় উইলিয়ামসবার্গ ৯.২৯ স্কোর অর্জন করেছে, যা প্রমাণ করে এই শহরের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব কতখানি।

ভার্জিনিয়ার এই শহরটি একসময় আমেরিকার রাজধানী ছিল। এখানকার ঐতিহাসিক স্থানগুলি আমেরিকার ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উইলিয়ামসবার্গ, জেমসটাউন এবং ইয়র্কটাউন – এই তিনটি শহর মিলে ‘হিস্টোরিক ট্রায়াঙ্গেল’ তৈরি করেছে, যা পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।

উইলিয়ামসবার্গে রয়েছে ‘কলোনিয়াল উইলিয়ামসবার্গ’ – যা বিশ্বের বৃহত্তম জীবন্ত ইতিহাস জাদুঘর, প্রায় ৩০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এছাড়াও এখানে রয়েছে ‘দ্য মাসকারেলে আর্ট মিউজিয়াম’, যেখানে প্রায় ৮,০০০ শিল্পকর্ম সংরক্ষিত আছে।

জাদুঘরে “হাইতি থেকে হারলেম: তুসোঁ লুভার্তুর ও জ্যাকব লরেন্স” শীর্ষক একটি প্রদর্শনীও চলছে, যা ২০২৬ সালের ৪ঠা জানুয়ারি পর্যন্ত দর্শকদের জন্য খোলা থাকবে।

যারা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসেন, তারা ‘উইলিয়ামসবার্গ বোটানিক্যাল গার্ডেন’ এবং জেমস নদীর তীরে সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।

উইলিয়ামসবার্গের খাদ্যরসিকদের জন্যেও রয়েছে নানা আকর্ষণ। এখানে ঐতিহাসিক ‘কিং’স আর্মস ট্যাভার্ন’-এর মতো পুরনো জায়গা যেমন আছে, তেমনই আধুনিক রেস্তোরাঁও রয়েছে। স্থানীয় পানশালাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের পানীয়ের স্বাদ নেওয়া যেতে পারে।

উইলিয়ামসবার্গের এই সাফল্যের কারণ হল, তারা তাদের ইতিহাসকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং সেটিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে। এখানকার ঐতিহাসিক স্থানগুলি ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা আজও দর্শকদের আকর্ষণ করে।

আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি এর কথা বলি, তাহলে আমরাও আমাদের ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে পারি। পুরনো স্থাপত্য এবং সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার অনেক সুযোগ আমাদের দেশেও রয়েছে।

এই তালিকার অন্যান্য স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে মন্টানার বোজম্যান ও মিসৌলা, আলাস্কার ফেয়ারব্যাঙ্কস এবং ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে।

তথ্যসূত্র: ট্র্যাভেল এন্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *