ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীরা কি আমাদের ফেলে যাওয়া জিনিসগুলো নিয়ে ধাঁধায় পড়বেন?
বর্তমানে আমরা যে যুগে বাস করছি, সেখানে প্রযুক্তি আর বর্জ্যের পরিমাণ বাড়ছে হু হু করে। বিজ্ঞানীরা এখন আশঙ্কা করছেন, একদিন হয়তো ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীরা আমাদের ফেলে যাওয়া জিনিসপত্র নিয়েই গবেষণায় বসবেন।
তারা সেগুলোকে ‘টেকন fossil’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। যুক্তরাজ্যের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ সারা গ্যাবট এবং ইয়ান জালাসিউইজ তাদের নতুন বই ‘ডিসকার্ডেড: হাউ টেকন fossil উইল বি আওয়ার আলটিমেট লিগ্যাসি’-তে এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
তাদের মতে, ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীরা হয়ত আমাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, প্লাস্টিক, অথবা বিশাল আকারের উইন্ড টারবাইনের মতো জিনিসগুলো খুঁজে বের করবেন। কিন্তু তারা সেগুলোর আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে হয়তো তেমন কিছুই জানতে পারবেন না।
উদাহরণস্বরূপ, তারা হয়তো অসংখ্য মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন, তবে সেগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা থাকবে না। গ্যাবট মনে করেন, “তারা হয়তো বুঝবেন এই জিনিসগুলো একটা সময়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু এগুলো আসলে কী কাজে লাগত, তা তাদের কাছে একটি বিরাট প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে।”
এই ‘টেকন fossil’-এর ধারণা পরিবেশের উপর আমাদের কার্যকলাপের গভীর প্রভাবের একটি প্রতিচ্ছবি। প্লাস্টিক এবং অন্যান্য সহজে ক্ষয় হয় না এমন জিনিসগুলো কয়েক হাজার বছর ধরে পরিবেশে টিকে থাকতে পারে।
এমনকি ইপোক্সি রেজিনের মতো কিছু উপাদান অ্যাম্বারের মতোই কাজ করতে পারে, যা আমাদের সময়ের অনেক কিছুই ধরে রাখবে, কিন্তু তাদের সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট জানা কঠিন হবে।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা মঙ্গলে জীবনের অস্তিত্বের সম্ভাবনা নিয়েও নতুন তথ্য দিয়েছেন। তারা সেখানকার পাথরের নমুনা বিশ্লেষণ করে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব অণুর সন্ধান পেয়েছেন।
যদিও এই উপাদানগুলো জীবনের প্রমাণ নাও হতে পারে, তবে এটি ইঙ্গিত করে যে কয়েক বিলিয়ন বছর আগে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল।
এছাড়াও, বিজ্ঞানীরা একটি নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন, যার বিশাল আকারের নখর ছিল। এই আবিষ্কারগুলি আমাদের অতীতের জীবনযাত্রা সম্পর্কে নতুন ধারণা দিতে পারে।
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ দূষণ একটি গুরুতর সমস্যা। প্লাস্টিক বর্জ্য এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থগুলো পরিবেশে মিশে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
তাই, আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতের বিজ্ঞানীরা আমাদের ফেলে যাওয়া জিনিসগুলো নিয়ে বিভ্রান্ত না হন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন