বিখ্যাত মার্কিন গেম শো উপস্থাপক এবং এক সময়ের জনপ্রিয় রেডিও ব্যক্তিত্ব উইঙ্ক মার্টিনডেল ৯১ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব এবং “গ্যামবিট” ও “টিক-ট্যাক-ডফ”-এর মতো জনপ্রিয় গেম শো উপস্থাপনার জন্য সুপরিচিত ছিলেন।
মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার র্যাঞ্চো মিরাজে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি লিম্ফোমায় ভুগছিলেন।
উইঙ্ক মার্টিনডেল শুধু একজন গেম শো হোস্ট ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন টেলিভিশন ইতিহাসেরও একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ১৯৫৬ সালে, তরুণ শিল্পী এলভিস প্রেসলিকে নিয়ে টেলিভিশনে প্রথম সাক্ষাৎকারগুলির মধ্যে একটি নিয়েছিলেন তিনি।
সেই সাক্ষাৎকারে প্রেসলির সঙ্গীত জীবনের শুরুর দিকের কথা জানা যায়।
মার্টিনডেলের কর্মজীবন শুরু হয়েছিল রেডিওতে। তিনি একসময় জনপ্রিয় রেডিও ডিজে ছিলেন, যা তাকে তাৎক্ষণিক কথোপকথন এবং দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন করতে সাহায্য করে।
তাঁর এই অভিজ্ঞতা গেম শো হোস্ট হিসেবে বিশেষভাবে কাজে লেগেছিল। তিনি প্রায় দুই দশক ধরে বিভিন্ন গেম শো উপস্থাপনা করেছেন।
“গ্যামবিট” শোটি ১৯৭২ সালে শুরু হয়েছিল এবং দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে, পরবর্তীতে “হুইল অফ ফরচুন”-এর আগমনের ফলে এর জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়।
১৯৭৮ সালে তিনি “টিক-ট্যাক-ডফ” নিয়ে ফিরে আসেন, যা ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত চলেছিল।
গেম শো হোস্ট হিসেবে মার্টিনডেলের সাফল্যের পেছনে ছিল দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা। তিনি প্রায়ই বলতেন, “আমি প্রতিযোগীদের সঙ্গে কাজ করতে, দর্শকদের সঙ্গে মিশতে এবং তাদের জীবন পরিবর্তন হতে দেখতে ভালোবাসি।”
তিনি মনে করতেন, অনেক বেশি নগদ অর্থ জেতা মানুষের জীবনকে বদলে দিতে পারে। একবার তিনি বলেছিলেন, “টিক-ট্যাক-ডফ” শো চলাকালীন তিনি প্রায় ৭ মিলিয়ন ডলার নগদ এবং পুরস্কার বিতরণ করেছেন।
মার্টিনডেলের ব্যক্তিগত জীবনও ছিল বর্ণাঢ্য। তিনি দু’বার বিয়ে করেছিলেন এবং তার চারটি কন্যা সন্তান ছিল।
প্রথম স্ত্রী’র সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি দীর্ঘদিন সানডির সঙ্গে সংসার করেন। তার প্রথম পক্ষের এক পুত্র সন্তান ছিলেন, যিনি তার আগেই মারা যান।
উইঙ্ক মার্টিনডেলের প্রয়াণে বিনোদন জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তাঁর স্মৃতি অম্লান হয়ে থাকবে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস