উইনসম আর্ল-সিয়ার্স: কঠিন পরিস্থিতিতেও কি পারবেন ভার্জিনিয়ার গভর্নর হতে?

ভার্জিনিয়ার আসন্ন গভর্নর নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী উইনসাম আর্ল-সিয়ার্স। অভিবাসী জীবন থেকে উঠে আসা এই নারী বর্তমানে রাজ্যের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তার নিজের দল রিপাবলিকানদের মধ্যেই অনেকে তার জয় নিয়ে সন্দিহান।

তাদের শঙ্কা, আসন্ন নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী অ্যাবিগেল স্প্যানবার্গারের কাছে তিনি পরাজিত হতে পারেন। এই নির্বাচনকে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের (midterm election) জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

উইনসাম আর্ল-সিয়ার্সের প্রচারণার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে তার অভিবাসী জীবনের গল্প এবং রক্ষণশীল আদর্শ। তিনি প্রায়ই বলেন, “এমন জীবন সম্ভবত অন্য কোনো দেশে সম্ভব নয়।” তিনি তার বক্তব্যে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি উক্তিও ব্যবহার করেন।

তার প্রচারণা অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি এবং ডেমোক্রেট প্রার্থী স্প্যানবার্গারের সমালোচনাকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হচ্ছে।

তবে, তার প্রচারণার গতি এখনো পর্যন্ত প্রত্যাশিত নয়। বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, স্প্যানবার্গার তার চেয়ে এগিয়ে আছেন। এছাড়া, নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন এখনো তিনি পাননি, যদিও রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বেশ ভালো।

এমন পরিস্থিতিতে দলের অনেক নেতাই তার জয় নিয়ে সন্দিহান। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক সহযোগী ক্রিস লাসিভিটা ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘নির্বাচনটি হচ্ছে নাকি?’

রিপাবলিকানদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, উইনসামের প্রচারণায় বর্তমান গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিনকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। ইয়ংকিন অবশ্য তার পাশে আছেন এবং নির্বাচনের জন্য তহবিল সংগ্রহে সাহায্য করছেন। তিনি মনে করেন, উইনসাম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং চাকরির সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম।

উইনসাম আর্ল-সিয়ার্স নিজেকে একজন কট্টর রক্ষণশীল হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বিবাহ-বৈষম্য বিলের বিরোধিতা করেছেন এবং গর্ভপাতের অধিকারের বিষয়েও তার রক্ষণশীল অবস্থান রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, উইনসামের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো দলের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা আনা এবং ভোটারদের আস্থা অর্জন করা। তাদের মতে, এই মুহূর্তে নির্বাচনের ফল নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা কঠিন। কারণ, প্রচারণার এখনো অনেক সময় বাকি আছে।

অন্যদিকে, ডেমোক্রেট প্রার্থী অ্যাবিগেল স্প্যানবার্গার তার দল এবং রিপাবলিকানদের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, তারা জনগণের চাকরি এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে খেলছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নির্বাচনের ফলাফল শুধু ভার্জিনিয়ার জন্য নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। কারণ, সাধারণত সরকারে থাকা দলের বিপরীতে থাকা দল এখানকার নির্বাচনে জয়লাভ করে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *